নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরের স্বভাব অনুযায়ী ফের নতুন ভাসানচরের জন্ম দিচ্ছে। যার ফলে লাভবান হচ্ছে বাংলাদেশ। সেদেশে নতুন ৫০ হাজার হেক্টর জমির খোঁজ মিলেছে। মূলত বঙ্গোপসাগরের স্বভাবই হচ্ছে মাঝে মাঝেই কিছু অংশে চর সৃষ্টি করে নতুন জমির জন্ম দেওয়া। ভারতেও পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে মৌসুনী, হেনরি আইল্যান্ড ও ঘোড়ামাড়া দ্বীপ। যদিও আগামী পাঁচবছরের মধ্যে সেই দ্বীপগুলির অস্তিত্ব বিপন্ন হবে বলেই মত আবহাওয়াবিদদের। সেইভাবেই বাংলাদেশ লাগোয়া বঙ্গোপসাগরে নতুন ভাসমান চরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের দূরত্ব নৌপথে মাত্র চার কিলোমিটার। মধ্যবর্তী এই স্থানে পলি জমে জেগে উঠছে নতুন চর। আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে ভাসানচর স্থলপথে মিলবে সন্দ্বীপে।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার সেই নতুন চরেই বনসৃজনের কাজ করতে চাই আগামী পাঁচ বছর বাদে। এই মুহূর্তে ২০ ফুট উঁচু চরটির পলি জমার কাজ শুরু হয়েছে। যা আগামী পাঁচবছরে দ্বীপে পরিণত হবে। নতুন পলিতে চরের বর্তমান গভীরতা ভরাট হয়ে আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যেই ভাসানচরে মিলে যেতে পারে সন্দ্বীপ। তখন আর নৌপথে নয় বরং সড়কপথেই দুই দ্বীপের সংযোগ স্থাপন হবে বলে দাবি বাংলাদেশের বন বিভাগের। কিন্তু বঙ্গোপসাগরের গতিবিধি বোঝা মুশকিল, তাই ওই জেগে ওঠা চরেই এখন থেকেই বনসৃজন করে নতুন জমি পেতে চাইছে বাংলাদেশ সরকার।
নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক নদীর সংখ্যা ৫৭টি। এসব নদীর মাধ্যমে মেঘনার মোহনায় পলি জমছে। এতে একদিকে যেমন নতুন চর জাগছে অন্যদিকে বছর বছর প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগে নদী ও সাগরগর্ভে হারাচ্ছে অনেক ভূমি। ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা ও পদ্মা নদী দিয়ে প্রতি বছর প্রায় ১০০ কোটি টন পলি বঙ্গোপসাগরে পড়ছে। এ পলিমাটিতে জাগছে নতুন চর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চর জাগছে নোয়াখালীর হাতিয়া, ভাসানচর ও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। জেগে ওঠা এসব চরের মাটির স্থায়িত্ব ধরে রাখতে বিশাল বনসৃজন করছে হাসিনার সরকার। এতে অক্সিজেনের পরিমাণ যেমন বাড়ছে, তেমন রক্ষা পাচ্ছে জীববৈচিত্র্যও।