এই মুহূর্তে




কোটা আন্দোলনে খুন ৩০০-র বেশি পুলিশ কর্মী, বিস্ফোরক রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: জুলাই-অগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থক ও জামায়াত ইসলামী সমর্থকদের হাতে খুন হয়েছেন ৩৩৭ পুলিশ আধিকারিক ও কর্মী। চারশোর বেশি থানায় ‌আক্রমণ চালিয়ে লুঠ করা হয়েছে কয়েক হাজার আগ্নেয়াস্ত্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এমনই রিপোর্ট জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহানির্দেশক মাইনুল ইসলাম। আর ওই রিপোর্টের কথা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশের নিচুতলার কর্মীরা ফের ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। আর নিচুতলার কর্মীদের বিদ্রোহ রুখতে শুক্রবারই (২৫ অক্টোবর) তড়িঘড়ি করে পুলিশের সদর দফতরের তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের সময়ে নানা হিংসায় প্‌রাণ হারিয়েছেন ৪৪ জন। যদিও ওই রিপোর্ট বিশ্বাসযোগ্য মনে করছেন না অধিকাংশ পুলিশ কর্মী।

গত জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই পুলিশকে আক্রমণের নিশানা বানিয়েছিল ছাত্রের মুখোশধারী হিযবুত তাহরী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের জঙ্গিরা। মিরপুর-সহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অতর্কিতে হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মীদের খুন করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, নিরীহ ট্র্যাফিক পুলিশ কর্মীরাও বাদ যাননি। তাছাড়া সিরাজগঞ্জ-সহ একাধিক থানায় হামলা চালানো হয়েছিল। ৫ অগস্ট শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যূতির পরে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ থানায় আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। একাধিক পুলিশ-‌আধিকারিক-কর্মীকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে এবং আগুনে পুড়িয়ে মারে। প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই পালিয়ে যান। কার্যত ১৫ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশ ছিল পুলিশ বিহীন।

অন্তর্বর্তী সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে অগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে কাজে ফিরতে শুরু করেন পুলিশ কর্মীরা। যদিও প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ আধিকারিক ‌ও কর্মী কাজে যোগ দেননি। বার বার বলা সত্বেও তাঁরা কাজে যোগ না দেওয়ায় ‘নিখোঁজ’ কর্মী-আধিকারিকদের খোঁজ নেওয়া শুরু হয়। আর সেই খোঁজ নিতে গিয়েই বিস্ফোরক তথ্য পান গোয়েন্দারা। তাঁরা জানতে পারেন, জুলাই-অগস্টে বিক্ষোভকারী ও জঙ্গিদের হাতে ৩৩৭ জন পুলিশ কর্মী ও আধিকারিক প্রাণ হারিয়েছেন। তার মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৫৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৩১ জন,  নারায়ণগঞ্জে ২২ জন, কুমিল্লা ১৮ জন, নোয়াখালীতে ১৭ জন, চাঁদপুরে ১২ জন, গাজীপুরে ১৩ জন, বরিশালে ৯ জন, চট্টগ্রামে ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বাকি বেশ কয়েকটি জেলায় নিহত হয়েছেন বাকি ৪৭ জন। এর মধ্যে অতিরিক্ত সুপার মর্যাদার ১৩ আধিকারিক রয়েছেন। গোয়েন্দাদের ওই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন সেনা কর্তা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কাছে পাঠানো হয়েছে। যদিও গণ অভ্যুত্থানে নিচুতলার পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকদের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি পুলিশের মহানির্দেশ মায়নুল ইসলাম।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তায় নতুন প্রহরী: রোবট কুকুর!

আচমকা মোবাইল টাওয়ারে চড়লেন মন্ত্রী,‌ হঠাৎ কী হল?

ভুয়ো সংস্থায় বিনিয়োগের টোপ দেখিয়ে ৪২ লক্ষ হাতানোর দায়ে গ্রেপ্তার নেট প্রভাবী

লুকিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করার অপরাধে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা থেকে বহিস্কার পানামা সুন্দরীকে

প্রকাশ্য রাস্তায় মূত্র বিসর্জন! মাতাল কনস্টেবলের কুকীর্তি ঘিরে নিন্দার ঝড়

দফতর থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরিয়ে দিল ‘পাকিস্তানি চর’ মোল্লা ইউনূসের আরও তিন উপদেষ্টা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর