নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: টাঙাইল শাড়ির জিআই তকমা নিয়ে পড়শি ভারতের সঙ্গে বিরোধের মধ্যেই বাংলাদেশের আরও চারটি পণ্য ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসাবে অনুমোদন পেয়েছে। ওই চার পণ্যের মধ্যে রয়েছে রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজরের আগর, আগর আতর এবং মুক্তগাছার মন্ডা। সোমবার চারটি পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদন দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করেছে শিল্প মন্ত্রক। এ নিয়ে বাংলাদেশের ২৮টি পণ্য জিআই হিসাবে স্বীকৃতি পেল। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরেই ‘আম দৌত্য’ হিসাবে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে হাঁড়িভাঙা আম। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের কাছে মরসুমি ফল হিসাবে হাঁড়িভাঙা আম উপহার হিসাবে পাঠিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৬ সালে বিশ্ববিখ্যাত জামদানি শাড়ি বাংলাদেশে প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তার পরে গত ৮ বছরে আরও একাধিক পণ্যকে জিআই হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ওই পণ্যগুলি হলো-বাংলাদেশের ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুর কাটারীভোগ, বাংলাদেশ কালোজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম, বাগদা চিংড়ি, শীতল পাটি, বগুড়ার দই, তুলসিমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই এবং কুষ্টিয়ার তিলের খাজা।
শিল্প মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও দুটি পণ্য জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেগুলি হল জামালপুরের নকশি কাঁথা এবং যশোরের খেজুর গুঁড়। আগামী সপ্তাহেই ওই দুই পণ্য জিআই হিসাবে স্বীকৃতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।