নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: টানা ১৪ ঘন্টা ধরে চেষ্টার পরে অবশেষে খাইবার পাখতুনখোয়ার বাত্তাগ্রামে ৯০০ ফুট উঁচুতে থমকে যাওয়া কেবল কারে আটকে পড়া আট যাত্রীকেই নিরাপদে উদ্ধার করেছে সেনার উদ্ধারকারী দল। রাত এগারোটা নাগাদ শেষ যাত্রীকে কেবল কার থেকে উদ্ধার করে নিচে নামিয়ে আনা হয়। থমকা যাওয়া কেবল কার থেকে সব যাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করার ফলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন প্রশাসনিক কর্তারা।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া-সহ দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কেবল কার ব্যবহার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে বাত্তাগ্রামে কেবল কারে চেপে স্কুলের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল ছয় স্কুল পড়ুয়া। তাদের সঙ্গে ছিলেন দুই ব্যক্তি। আচমকাই একটি তার ছিঁড়ে যাওয়ায় মাঝপথেই থেমে যায় কেবল কারটি। মাটি থেকে প্রায় ৯০০ ফুট উপরে ঝুলতে থাকে। কেবল কার আটকে পড়ার ঘটনায় হুলুস্থুলু পড়ে যায়। প্রথমে উদ্ধারকার্যে ডাকা হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের। কিন্তু মাটি থেলে প্রায় ৯০০ ফুট উঁচুতে কেবল কারটি আটকে পড়ার কারণে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী আটকে থাকাদের উদ্ধার করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে ডেকে পাঠানো হয়।
প্রথমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, হেলিকপ্টারের সাহায্যে উদ্ধারকার্য চালানো হবে। কিন্তু হেলিকপ্টার থমকে যাওয়া কেবল কারের কাছাকাছি গেলে উল্টো বিপত্তি ঘটতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে উদ্ধারের রণকৌশল কিছুটা বদলানো হয়। হেলিকপ্টার থেকে দড়ি ঝুলিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয় সেনার প্রশিক্ষিত কম্যান্ডো বাহিনীকে। ওই প্রশিক্ষিত কম্যান্ডো বাহিনী বেশ কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় কেবল কার থেকে প্রথমে পাঁচ শিশুকে উদ্ধার করে নিচে নামিয়ে দেয়। পরে বাকি তিনজনকেও উদ্ধার করা হয়। রাত এগারোঋটা নাগাদ উদ্ধারকার্য শেষ হয়। জীবিত অবস্থায় সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে প্রশাসন।