নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: তিনি শাসক দলের সর্বোচ্চ নেতা। তার এক অঙ্গুলিহেলনে বদলে যেতে পারে অনেক কিছুই। অথচ সেই পরাক্রমশালী বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার স্ত্রীর গাড়ি চুরি করে চম্পট দিল চোর। আর ওই দুঃসাহসিক ঘটনা ঘটেছে দেশের রাজধানী দিল্লিতে। যে দিল্লি পুলিশ আবার দেশের সর্বশক্তিমান নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অধীনস্ত। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। চুরি যাওয়া গাড়ি উদ্ধারে দিনরাত এক করে দিয়েছেন দিল্লি পুলিশের দুঁদে আধিকারিকরা। কিন্তু চুরি হওয়ার ছয়দিন বাদে না খোয়া যাওয়া গাড়ি উদ্ধার করতে পেরেছেন, না চোরকে পাকড়াও করতে পেরেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, চোর বাবাজী কী আদৌ জানত ওই গাড়ি দেশের অন্যতম পরাক্রমশালী নেতার স্ত্রীর?
সূত্রের খবর, গত ১৯ মার্চ জেপি নাড্ডার স্ত্রী মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায় নাড্ডার টয়োটা ফরচুনার গাড়িটি সার্ভিস করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন গাড়ির চালক যোগিন্দর। সার্ভিসিংয়ের পরে গাড়িটি নিয়ে ফেরার পথে গোবিন্দপুরীতে নিজের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারতে গিয়েছিলেন তিনি। দামী গাড়িটি রাস্তাতেই রেখেছিলেন। মধ্যাহ্নভোজ সেরে ফিরেই কার্যত চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় যোগিন্দরের। কেননা, ততক্ষণে গাড়িটি উধাও। খোদ দেশের অন্যতম পরাক্রমশালী নেতার স্ত্রীর গাড়ি চুরি করার সাহস কেউ দেখাতে পারে, তা তার কল্পনাতেও ছিল না। তাও আবার দিনেদুপুরে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই মালকিন মল্লিকা নাড্ডার গোচরে আনেন যোগিন্দর। তাঁর পরামর্শেই দিল্লি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। চুরির ঘটনাটি ঘটে বেলা তিনটে থেকে চারটের মধ্যে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির স্ত্রীর গাড়ি চুরি যাওয়ার খবর শুনেই দিল্লি পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের চুল খাড়া হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই দুঁদে আধিকারিকদের নামানো হয় চুরি যাওয়া গাড়ি উদ্ধারে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে দিল্লি পুলিশের দুঁদে আধিকারিকরা লক্ষ্য করেন, চুরি করা গাড়িটি বিজেপি শাসিত হরিয়ানার গুরুগ্রামের দিকে নিয়ে গিয়েছে চোর বাবাজী। যদিও ছয়দিন কেটে যাওয়ার পরেও চুরি হওয়া গাড়ি উদ্ধার করা যায়নি।