নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিরোধী শিবিরের সাংসদরা মোদি সরকারের কতটা চক্ষুশূল ফের তার প্রমাণ মিলল। বৃহস্পতিবার লোকসভায় হাজির না থাকা সত্বেও সাসপেন্ড করা হল ডিএমকে সাংসদ এসআর পার্থিবানকে। আর ওই বেনজির কাণ্ড নিয়ে রসিকতা শুরু হতেই তড়িঘড়ি ডিগবাজি খেল সরকার পক্ষ। রাতেই পার্থিবানের উপর থেকে সাসপেনশন নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সাফাই দিয়ে বলা হয়েছে, ‘শনাক্তকরণে ভুল হয়েছিল।’ যদিও ওই সাফাই মানতে নারাজ ডিএমকে নেতৃত্ব। তাদের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবেই ওই লজ্জাজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি।
বুধবারই লোকসভায় হানা দিয়েছিলেন দুই যুবক। ওই ঘটনা নিয়ে আলোচনার দাবিতে এদিন সংসদের দুই কক্ষেই সভা শুরুর পর থেকে সরব হন বিরোধী শিবিরের সাংসদরা। নিজেদের নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে সভার কাজ মুলতুবি রাখার দাবি জানান। যদিও নিজেদের ব্যর্থতা ধামাচাপা দিতে বিরোধী শিবিরের সাংসদদের দাবি মানতে রাজি হয়নি সরকার পক্ষ। উল্টে সভার কাজে বাধা সৃষ্টির জন্য রাজ্যসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং লোকসভা থেকে বিরোধী শিবিরের ১৪ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। তার মধ্যে ৯ জনই কংগ্রেসের। সাসপেন্ড হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন কেরলের ইডুক্কী কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ ডিন কুরিয়াকোস, এরনাকুলামের সাংসদ হিবী ইডেন, আলাথুরের সাংসদ রম্যা হরিদাস, ত্রিশূরের সাংসদ টিএন প্রতাপন এবং তামিলনাড়ুর কারুর কেন্দ্রের সাংসদ জোথিমনী। এ ছাড়া, তামিলনাড়ুর বিরুধুনগরের সাংসদ মানিক্কাম ঠাকুর, তুতুকুড়ির ডিএমকে সাংসদ কনিমোঝি করুণানিধি ও সালেমের সাংসদ এসআর পার্থিবান।
সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকা প্রকাশ হতেই শোরগোল শুরু হয়। কেননা, ওই তালিকায় ছিল ডিএমকে সাংসদ এসআর পার্থিবানের নাম। অথচ মজার বিষয় হলো, এদিন সংসদে হাজিরই ছিলেন না তামিলনাডুর সালেমের সাংসদ। এই ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়ে শাসক শিবির। পরে অবশ্য লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে পার্থিবানের নাম সাসপেনশনের তালিকা থেকে প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়।