নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিদেশের মাটিতে ভারতের স্ট্রিট ফুড সেরার স্বীকৃতি পাওয়ার পর ভারতীয় খানার এক অত্যাশ্চর্য নজির এবার ভূস্বর্গে। নিজস্বতা, স্বকীয়তা ও খাবারে নানা রকমের মশলার ব্যবহার ভারতের নানা প্রান্তের নানা প্রদেশের খাবারকে এক আলাদা মাত্রা দিয়েছে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে দেশের নানা প্রান্তে বসে যেমন জেনে নিতে পারি আমরা কোথায় গেলে ঠিক কোন খাবারটা খেতেই হবে? নাহলেই মিস করব। কিংবা স্বাদ বদলাতে ভিন রাজ্যের খাবার আমরা বানিয়ে ফেলি নিজেদের রন্ধনশালায়।
ঠিক তেমনই এবার সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ভূস্বর্গে এক ক্যাফের সন্ধান মিলল। যার বিশেষত্ব হল ‘ভারতীয় সেনাবাহিনী’। উল্লেখ্য ২০২১ সালে ‘আন্তর্জাতিক কফি দিবস’এ গুরেজে একটি কফি শপ খোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। স্থানীয় ও ওই স্থানে আসা পর্যটকদের জন্য এটি ছিল ওই অঞ্চলের প্রথম ক্যাফে। ধীরে ধীরে বেড়েছে ওই ক্যাফের জনপ্রিয়তা। বহু মানুষ আসেন এখানে সুস্বাদু খাবারের স্বাদ নিতে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই ক্যাফের মূল উদ্যোক্তা। যার মূল লক্ষ্য ছিল এই অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দা ও যারা নব্য প্রজন্ম তাঁদের স্বাবলম্বী করে তোলা। এই রেস্তোরাঁর সমস্ত কর্মীই স্থানীয় বাসিন্দারা। যারা ক্যাফেটি চালান। এবার সেই ক্যাফেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
উল্লেখ্য বর্তমানে বিভিন্ন ব্লগারদের দৌলতে ইন্সটাগ্রাম কিংবা ফেসবুক খুললেই উঠে আসে নানা খাবারের ভিডিও, রিল। তেমন ভাবেই এক ব্লগার গরিমা গোয়েলের ভিডিওতে উঠে এলো কাশ্মীরের বুকে চলা এই রেস্তোরাঁর কথাও। কাশ্মীরের ভ্যালিতে অবস্থান এই ‘লগ হাট ক্যাফে’-এর। মূলত স্ন্যাক্স ও নানারকমের পানীয় মেলে এখানে। সেই খাবারের তালিকায় রয়েছে স্যান্ডউইচ, ম্যাগি, মোমো, কফির মত রিফ্রেশিং সমস্ত জলখাবার। শুধু খাবারই নয় তার সঙ্গে মন ভালো করব্বে এই ক্যাফের অন্দরসজ্জা। আলো, গাছ ও নানা সুন্দর জিনিস দিয়ে সাজানো হয়েছে এই ক্যফেটি। ইতিমধ্যেই গরিমার ওই ভিডিওতিতে ভিউয়ার্সের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ কোটি ২৫ লক্ষ।
গরিমার পোস্ট করা ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার করেছেন এদেশের বিজনেস টাইকুন আনন্দ মাহিন্দ্রা। যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল। ভিডিওটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ”আমি যতদূর জানি এই রেস্তোরাঁটি পাঁচ বা সাত তারা নয়। বরং এটি ১০ তারার সমান।”
As far as I’m concerned, this Cafe is not a 5 star, nor a 7 star, but a 10 star destination! pic.twitter.com/oQZvEOanlT
— anand mahindra (@anandmahindra) June 11, 2022
সুন্দর ক্যাফেটি নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা প্রচুর প্রশংসা করেছেন। আনন্দ মাহিন্দ্রার টুইটেও তাঁরা মন্তব্য করেছেন। কেউ লিখেছেন “আমি এই ক্যাফে সম্পর্কে শুনেছি। আপনার টুইটের যথাযথ সম্মানের সাথে, আমি মনে করি এটি হাজার স্টারের সমতুল”। অন্য একজন লিখেছেন “আমি একদিন এই জায়গাটিতে যেতে চাই।” এটি ভারতীয় সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কারণে আরও মুগ্ধ হন সকলে। কেউ লিখেছেন, “ভারতীয় সেনাবাহিনীর সুন্দর উদ্যোগ।”