নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন: প্রেম বড়ই মধুর। প্রেমিকার জামিনের জন্য অর্থের সংস্থান করতে গিয়ে ডাকাতির পথকেই বেছে নিয়েছিল ডোনাল্ড অ্যান্টনি গ্র্যান্ট। সেই ডাকাতি করতে গিয়েই অনভ্যস্ত হাতে জোড়া খুন করেছিল। সেই জঘন্য অপরাধের কারণে আগেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল তাকে। বৃহস্পতিবার ওকলাহোমার কারাগারে প্রাণঘাতী ইনজেকশন গ্র্যান্টের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। চলতি বছরে মার্কিন মুলুকে এই প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলো।
শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘এনবিসি’ নিউজ জানিয়েছে, ২১ বছর আগে ২০০১ সালে ডোনাল্ড অ্যান্টনি গ্র্যান্ট এক যুবক কারাবন্দি প্রেমিকার জামিনের অর্থ সংগ্রহে এক হোটেলে ডাকাতির অভিসন্ধি নিয়ে যায়। ডাকাতির সময়ে দুই কর্মীর উপরে গুলি চালায় গ্র্যান্ট। তাঁদের একজন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। অন্য কর্মীকে ছুরির আঘাতে খুন করে। ২০০৫ সালে গ্র্যান্টকে জোড়া খুনের জন্য মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় নিম্ন আদালত। ওই সাজার বিরুদ্ধে অসংখ্যবার আপিল করেছে সে। যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি। আদালতে গ্যর্যান্টের আইনজীবীরা দাবি করেন, ‘ছোটবেলা থেকেই মাদকাসক্ত বাবার সহিংসতার শিকার হয়েছিল সে। ফলে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিল।’ কিন্তু সেই সওয়ালে কোনও লাভ হয়নি।
ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যে বিষ ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তার ক্ষেত্রে যাতে ওই পদ্ধতি প্রয়োগ না করে ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড় করিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়, সেই আর্জি জানিয়েছিল গ্র্যান্ট। কিন্তু বুধবার সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। স্থানীয় সময় সকাল দশটা তিন মিনিটে গ্র্যান্টের শরীরে প্রথম প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা হয়। মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই নেতিয়ে পড়ে।
শরীরে প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন প্রয়োগের আগের মুহুর্ত পর্যন্ত যথেষ্টই শক্ত দেখিয়েছে ৪৬ বছর বয়সী গ্র্যান্টকে। পরিবারের বাকি সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি মহাবিশ্বের দিকে যাচ্ছি। আমি আবার ফিরে আসব। ঈশ্বর এখানে আছেন। প্রকৃত ঈশ্বর।’