নিজস্ব প্রতিনিধি, রোহতক: চাকরি যাওয়ার বদলা নিতে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিলেন ৬ জনকে। নিহতদের মধ্যে ছিল চার বছরের এক শিশুও। ওই জঘন্য ঘটনায় প্রাক্তন কুস্তি কোচকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল রোহতক আদালত। একই সঙ্গে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত সুখবিন্দর সিংকে ১ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন রোহতকের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক গগন গীত কাউর।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিক অভিযোগ ওঠায় একটি কুস্তির আখড়া থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল কুস্তি প্রশিক্ষক তথা সোনিপতের ভারাউদার বাসিন্দা সুখবিন্দর সিং। প্রশিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ার পরেই তার রাগ গিয়ে পড়ে মনোজ মালিক, কুস্তি প্রশিক্ষক সতীশ কুমার, পারদীপ মালিক ও কুস্তিগীর পূজার উপরে। ২০২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথমে মনোজ মালিকের উপরে চড়াও হয় সুখবিন্দর। গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় মনোজ, তাঁর স্ত্রী সাক্ষী মালিক ও চার বছরের শিশু সন্তান সরতাজকে। পরে দুই কুস্তি প্রশিক্ষক সতীশ কুমার, পাদীপ মালিক ও পূজাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ছয় জন। কোনও ক্রমে প্রাণে রক্ষা পান অমরজিৎ নামে আর এক ব্যক্তি। ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘিরে গোটা দেশেই শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনার তদন্তে নেমে সুখবিন্দরকে গ্রেফতার করে রোহতক পুলিশ।
শুক্রবার মামলার রায় দিতে গিয়ে রোহতকের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক গগন গীত কাউর বলেন, ‘আসামি সুখবিন্দর সিং যে ঘটনা ঘটিয়েছেন তা বিরলের মধ্যে বিরলতম। ফলে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ছাড়া আদালতের সামনে অন্য কোনও সাজা ঘোষণার পথ খোলা নেই।’