নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্তমানে সব থেকে রমরমে যা চলে তা হল বিভিন্ন ধরনের ব্লগ ভিডিও. তার মধ্যে অন্যতম ফুড ব্লগ. পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ব্লগাররা নিত্য নতুন খাবারের স্বাদ গ্রহণ করেন এবং তা দর্শকের সামনে তুলে ধরেন। তাঁদের ভিডিওতে তার মাধ্যমে দর্শকের বিভিন্ন কৌতূহল নিরসন যেমন তাঁরা করে থাকেন তেমনি বিভিন্ন আগ্রহের উন্মোচনও করেন। সেরকমই একটি ফুড ব্লগ বানিয়েছিলেন এক চিনা ব্লগার তাঁর নাম টিজি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে ওই ফুড ব্লগের ভিডিওটির জন্যই এখন পুলিশের নজরে ওই ব্লগার।
কেন এমন পদক্ষেপ এই সামান্য ভিডিওর জন্য? তাহলে শুনে রাখুন বিভিন্ন খাবারের রসাস্বাদন করতে করতে এবার এমন কিছু রান্না করে খেয়েছেন ওই ব্লগার যা নেট পাড়ার নাগরিকেরা ভালো চোখে নেননি। তাঁর ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে একটি সাদা হাঙ্গর রান্না করে ভেজে তা খাচ্এছেন অপি চিনা ব্লগার। ভিডিওটি বানানোর পর তা পোস্ট করেছিলেন ওই ব্লগার। ওই ভিডিওর একটি ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে তদন্ত। চীনের সেন্ট্রাল সিটি নানচং এর পুলিশ জানিয়েছে যে তাঁকে দুর্মূল্য ওই সাদা হাঙ্গর খেতে দেখা গিয়েছে। যদিও সেই ভিডিওটি পরে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে ডিলিট করে দেন ওই ব্যক্তি।
কী দেখা গিয়েছিল এই ভিডিওটিতে? জানা যাচ্ছে ২ মিটার লম্বা ওই মাছের উপরের আস্তরণ খুলে বারবিকিউ করছেন ওই ব্লগার। তাঁকেবলতে শোনা যাচ্ছে এটা দেখে ভয়ঙ্কর মনে হতে পারে। কিন্তু এটি সত্যিই ভীষণ ভালো খেতে। নরম ও তুলতুলে মাংস। শুধু তাই নয় মাছের মাথা ভাজার মতো করে ওই সাদা হাঙ্গরটির মাথাও মশলা দিয়ে রান্না করতে দেখা দিয়েছে তাঁকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই এই পুরো ভিডিওটি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে পড়ে। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান নেট নাগরিকরা। অনেকেই এতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকেই সেই ভিডিওতে। কমেন্টে লিখেছেন, ”কীভাবে দিনের আলোতে একজন মানুষ এভাবে একটি প্রাণীকে হত্যা করে খেতে পারে? যা আবার এক প্রকার বিরল।” অনেকেই আবার বলেছেন, ”এটি অত্যন্ত নিম্ন রুচির পরিচয়।”
বলে রাখা ভালো ইতিমধ্যেই এই প্রজাতির সাদা হাঙ্গর বিরল প্রাণীর তালিকাভুক্ত হয়েছে। এবং তার সংরক্ষণের জন্য সমস্ত রকমের ব্যবস্থা নিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার। এমনকি এএফপি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এই হাঙ্গরগুলিকে চিনের সংরক্ষিত প্রাণীর তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। কোন রকম ভাবে তা শিকার করলে এবং তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে সেই ব্যক্তির পাঁচ থেকে দশ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। ইতিমধ্যেই ওই ব্লগার টিজিকে জেরা করা শুরু হয়েছে। গণমাধ্যমের সামনে তিনি জানিয়েছেন আইনি উপায়ে অবলম্বনেই নাকি এই মাছটি তিনি পেয়েছিলেন। তবে তাঁর বক্তব্যকে অসামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য বলে দাবি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।