নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: বিশেষভাবে সক্ষম মেয়ে (daughter)নিয়ে চলতে চলতে ক্লান্ত মা। শেষ পর্যন্ত তাঁকে খুন করার সিদ্ধান্ত নিলেন। যদিও পুলিশের (police) কাছে প্রাথমিকভাবে খুনের অভিযোগ মানতে চাননি। চেষ্টা চালিয়েছিলেন আত্মহত্যার তত্ত্ব দাঁড় করাতে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণে পুলিশ দেহ ময়না তদন্তের (Post mortem) জন্য নিয়ে যায়। অটপ্সি রিপোর্টে বলা হয়, বিশেষভাবে সক্ষম কন্যার গলায় দাগ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ওই দাগ থেকে স্পষ্ট তাকে শ্বাসরোধ করা হয়েছে। গলায় দড়ি বা শক্তি কিছু দিয়ে আত্মহত্যা (suicide) করলে যে ধরনের দাগ সাধারণভাবে দেখা যায়, বিশেষভাবে সক্ষম ওই তরুণীর (daughter)গলায় থাকা দাগের সঙ্গে তার পার্থক্য রয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের অপরাধদমন শাখার কর্তারা এক চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। চিকিৎসক জানান, একজন বিশেষভাবে সক্ষমের (disabled)পক্ষে এই ধরনের চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা কোনও অবস্থাতেই সম্ভব নয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ বিশেষভাবে সক্ষম ওই তরুণীর মাকে ম্যারথন জেরার সিদ্ধান্ত নেয়। জেরায় তিনি ভেঙে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করে নেন।
পুলিশ (police) এই খুনের খবর দিতে গিয়ে জানিয়েছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট (Post mortem) হাতে পাওয়ার পর আমরা ওই মহিলাকে জেরা করি। প্রথম দিকে তিনি খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরে জেরায় স্বীকার করে নেন অপরাধের কথা। সেই সঙ্গে বলেন, পরিবার রীতিমতো অর্থসঙ্কটে ভুগছে। বিশেষভাবে সক্ষম মেয়ের জন্য মাসে খরচ করতে হয় বহু টাকা। সেটা বহন করা কোনওভাবেই সম্ভব হচ্ছিল না। তাই, ব্যয় সঙ্কোচন করতে মেয়েকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন।