নিসর্গ নির্যাস: ‘আমায় কিছু দাও গো, বলে বাড়িয়ে দিলে হাত…’। হাত বাড়াচ্ছেন সাক্ষাৎ দেব-দেবী। গঙ্গাসাগরে (GANGA SAGAR) সার দিয়ে আছেন দেব ও দেবী। কেউ আছেন দাঁড়িয়ে, কেউ বা বসে। আবার কেউ দিচ্ছেন হামাগুড়ি। সকলেরই একটি হাত সামনের দিকে এগানো।
‘সাগরসঙ্গম’-এ ছোট্ট ছোট্ট ঘর। সেই সব ঘর দেবদেবীদের। ওই ঘর থেকেই বেরিয়ে এসছেন তাঁরা। ভক্তরা তাঁদের হাতে দিয়ে যাচ্ছেন টাকা, ফল, সবজি, চাল। না, আদৌ কেউ দেবদেবী সাজে না। তবে কপিল মুনি’র আশ্রমের সামনে কি সত্যিই নেমে আসেন ‘ওপরওয়ালা’! কী করেন সাগরতটের বালিভূমিতে?
আরও পড়ুন: পুরাণ থেকে সাহিত্য, গঙ্গাসাগরের ইতিকথা- ২
আসলে দেবদেবীদের ছোট্ট ছোট্ট মূর্তি। মাটি’র বিগ্রহগুলি তৈরি হয়েছে এমনভাবেই। পূণ্যার্থীরা যে পথ দিয়ে মোহনায় যান, সেখানেই রাখা থাকে এই বিগ্রহগুলি। একএকটি বিগ্রহ একএকজনের। বিগ্রহদের কাছে ভক্তদের নিবেদন করা অর্থ, চাল, আনাজ এবং ফল দিয়েই জীবনধারণ করেন তাঁরা। প্রত্যেকেই স্থানীয়। এভাবেই চলে আসছে বছরের পর বছর।
গঙ্গাসাগরের মেলার ক’দিন জমা পড়া ওই বিন্দু বিন্দু নৈবেদ্য হয়ে ওঠে ‘সিন্ধু’। এই দিনগুলিতে তাঁদের ‘দিন গুজরান’ হয় ভালোই। গঙ্গাসাগরের এ এক চেনা সংস্কৃতি। ভক্তরা এভাবেই ‘অর্ঘ্য’ দেন পূণ্য লাভের আশায়। এও যে একধরণের পুজো।