নিজস্ব প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও: নিজের জন্মদাতা পিতাকে খুন করে সরাসরি থানায় হাজির হলো ঘাতক পুত্র। তার পরে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিককে চমকে দিয়ে বললেন, ‘বাবাকে খুন করেছি। গ্রেফতার করুন।’ প্রথমে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক ওই কথা শুনে বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলেন। বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত খোঁজখবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে পারার পরেই গ্রেফতার করেছে ঘাতক পুত্রকে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত গোলাম আজম ঠাকুরগাঁওয়ের শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) থেকে কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। মাসখানেক আগে চাকরি ছেড়ে বাড়িতে চলে আসেন তিনি। বাড়িতে ফেরার পরেই আজম অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করেন। পরিবারের লোকজন তাঁকে জোর করেই মানসিক রোগীর চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। এতে পরিবারের লোকজনের ওপর তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। গতকাল রবিবার গভীর রাতে বাড়িতে পরিবারের বাকি সদস্যরা না থাকায় আজম আচমকাই লোহার রড নিয়ে বাবার ঘরে ঢুকে পড়ে। তখন গভীর নিদ্রায় ছিলেন ফজলে এলাহী।
বাবার মাথায় প্রথমে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করার পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে বেশ কয়েকবার ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ফজলে এলাহী। বাবাকে খুন করার পর রাত আড়াইটা নাগাদ সটান থানায় হাজির হন আজম। থানায় ঢুকে কর্তব্যরত আধিকারিক নির্মল রায়কে বলেন, ‘আমি আমার বাবাকে খুন করেছি। এর জন্য আমি নিজের বিচার চাই। আমাকে গ্রেফতার করুন।’ আজমের কথায় বিশ্বাস না করে বিষয়টি যাচাই করতে গিয়ে বিস্মিত হয়ে যান কর্তব্যরত আধিকারিক। শেষ পর্যন্ত ঘাতক আজমকে গ্রেফতার করা হয়।