আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কথায় বলে, পড়াশোনার কোনও বয়স নেই। শুধু ইচ্ছে থাকলেই অসাধ্য পূরণ করা যায়। ফের একবার সেই আপ্তবাক্যকে সত্যি বলে প্রমাণ করলেন জোয়ান ডোনোভান। পরিবারের আর্থিক চাপের কারণে স্নাতকের পরেই পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে দেওয়া ডোনোভান ৮৯ বছরে এসে সাউদার্ন নিউ হ্যাম্পায়াশায়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ইংরেজি ও সৃজনশীল লেখনিতে মাস্টার্স ডিগ্রি পেয়েছেন তিনি। শরীরে জড়ানো রোব, মাথায় ‘হ্যাট’, হাতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া শংসাপত্র হাতে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের আলোকচিত্রীদের সামনে পোজও দিয়েছেন নব্বইয়ের কোঠায় পা রাখা সাহসিনী।
ছোট থেকেই পড়াশোনার প্রতি গভীর টান ছিল জোয়ানের। কিন্তু বার বার পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছ্বলতা তাতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। মাত্র সাড়ে চার বছরে প্রথমে স্কুলের গণ্ডিতে পা রেখেছিলেন তিনি। ষোল বছরেই স্নাতক হয়েছিলেন। ইচ্ছে ছিল প্রিয় বিষয় নিয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি নেবেন। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, পড়াশোনার কথা ভুলে যাও। পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার মতো অর্থ ব্যয় সম্ভব নয়। কিছুদিন বাদেই বিয়ে হয়ে যায়। তার পর শুরু হয় সংসারের জোয়াল টানা। ছয় সন্তান বড় হওয়ার পরে ফের মাস্টার্সের পোকা মাথায় নড়াচড়া করতে শুরু করে জোয়ানের। ৮৪ বছর বয়সে ফের শুরু করেন পড়াশোনা। সাউদার্ন নিউ হ্যাম্পশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ও সৃজনশীল লেখনি কোর্সে ভর্তি হন।
শেষ পর্যন্ত স্বপ্নপূরণ হয়েছে জোয়ানের। ৮৯ বছর বয়সে এসে নিজের স্বপ্নপূরণ হওয়ায় খুশিতে ভাসছেন নব্বইয়ের ঘরে পা রাখা সাহসিনী। জীবন সায়াহ্নে এসে স্বপ্নপূরণে কেমন লাগছে জানতে চাওয়া হলে এক গাল হেসে বললেন, ‘আমি উচ্ছ্বসিত। কী প্রতিক্রিয়া দেব, তা ভেবেই পাচ্ছি না। শুধু বলতে পারি ভীষণ রোমাঞ্চিত। জীবনের সব অপূর্ণ ইচ্ছে পূর্ণ হওয়ার আনন্দ অনুভূত হচ্ছে।’