এই মুহূর্তে




দেবী লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা হল কেন জানেন কী ?

নিজস্ব প্রতিনিধি : দুর্গাপুজো শেষ, তবে মায়ের কৈলাসে ফিরে যেতেই আগমন ঘটবে দেবী লক্ষ্মীর। এবার বাড়িতে বাড়িতে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।’কোজাগরী’ শব্দটির উৎপত্তি ‘কো জাগতী’ অর্থাৎ ‘কে জেগে আছ’ কথাটি থেকে। কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন দেবী রাত্রে খোঁজ নেন কে জেগে আছেন…? কিন্তু আপনি কী জানেন এত প্রাণী থাকতে কেন পেঁচার পিঠে চড়েন দেবী লক্ষ্মী ? তবে জেনে নিন পেঁচা দেবী লক্ষ্মীর বাহন  হওয়ার পেছনে কোন রহস্য লুকিয়ে আছে।

একটা প্রচলিত কথা আছে, তা হল লক্ষ্মীপেঁচা। সাদা রঙের পেঁচা লক্ষ্মী পেঁচা নামে পরিচিত। এর কারণ হিসেবে অনেকে মনে করেন দেবী লক্ষ্মীর থেকে এই নাম এসছে। পুরানে একবার ডুব দিয়ে দেখে নিন পেঁচা কেন মা লক্ষ্মীর বাহন ।

পেঁচা হল নিশাচর পাখি। দিনের বেলা ঘুমোয় আর রাতের আকাশে উড়ে উড়ে শিকার ধরে। ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকারে এদের চোখ আরও বেশি জ্বলে, প্রখর হয় দৃষ্টিশক্তি। তাই রাতজাগা এই প্রাণী হল শুভ ও আলোর প্রতীক। কেননা এটি অন্ধকারেও আলোর দিশা খুঁজে নিতে পারে। 

পুরাণ মতে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি হওয়ার পর দেবতারা মর্ত্যে এসেছিলেন সমস্ত জীবকূলকে পরিদর্শন করতে। কিন্তু সেইসময় তাঁদের কোন বাহন ছিল না। তাই মর্ত্যে হেঁটে চলাফেরা করতে হত দেবতাদের। পায়ে হেঁটে তাঁদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হচ্ছিল দেখে বিভিন্ন পশু পাখিরা দেবদেবীদের একটি ভাল প্রস্তাব দেয়।

পশুপাখিরা সকলে দেবতাদের অনুরোধ করে যে, তারা প্রত্যকেই দেবতাদের বাহন হতে চায়। এভাবেই বিভিন্ন দেবদেবী বাহন হিসেবে এক একটি পশু বা পাখিকে বাহন হিসেবে বেছে নেন। এবার পালা আসে দেবী লক্ষ্মীর। দেবী লক্ষ্মীর বাহন হতে সমস্ত প্রাণীকূলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়। বাহন হওয়ার জন্য সকলে আগ্রহ প্রকাশ করলেও দেবী লক্ষ্মী উপযুক্ত বাহন খুঁজছিলেন। তাই একটি পরিক্ষা নেবেন বলে ঠিক করেন।

দেবী লক্ষ্মী সকল পশুপাখীদের বলেন, তিনি প্রত্যেক কার্তিক অমাবস্যার রাতে মর্ত্যে তাঁর আগমন ঘটবে। যে প্রাণী সবার আগে এইদিন তাঁর কাছে পৌঁছোবে সেই হবে দেবীর বাহন।

আরও পড়ুন : লক্ষ্মীর আট অবতারের কথা জানেন ?

এরপর কার্তিক অমাবস্যার রাতে মর্ত্যের অন্যান্য প্রাণীরা ঘুমিয়ে পড়লেও জেগে ছিল পেঁচা সহ আরও কয়েকটি নিশাচর প্রাণী। অমাবস্যা রাতের ঘোর অন্ধকারে পেঁচার দৃষ্টিশক্তি হয়ে ওঠে অত্যন্ত তীব্র। বহুদূর থেকে দেখতে পায় যে দেবী আসছে। তাই উড়ে গিয়ে সোজা দেবীর পায়ের কাছে পৌঁছোয়। এতে খুশি হন দেবী লক্ষ্মী। দেবীর বাহন হয়ে বিশ্বব্রহ্মান্ডে পরিচিতি পায় এই নিশাচর পাখি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

৬০ বছরের ডিভোর্সি মহিলাকে বিয়ে চল্লিশের যুবকের, তাঁদের প্রেমকাহিনী শুনলে ভিরমি খাবেন..

‘‌মুখে প্রস্রাব করে দেব’‌, রাস্তায় দাঁড়িয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ মহিলা পুলিশ অফিসারের

বিয়ের মণ্ডপে চরম বিভ্রাট! সিঁদুর আনতে ভুলে গেলেন কনেপক্ষ, মুশকিল আসান করল ‘ব্লিঙ্কিট’

‘দশ হাজারে খুপরি ঘর’, ছুটির মরসুমে রাজস্থান ভ্রমণে নিষেধ করলেন তরুণী ব্লগার

কনকনে ঠান্ডায় মা-বাবার লাশের পাশে ৫ বছরের শিশু, জঙ্গলে উদ্ধার দম্পতির দেহ

পার্টির পরিবেশ পছন্দ নয়? মন ভালো রাখতে বাড়িতে এভাবে কাটান বর্ষবরণের রাত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ