এই মুহূর্তে




Mahalaya : মহালয়ায় তর্পন কি শুধু গঙ্গাতেই করা যায়, নাকি যে কোনো জলাশয়েই সম্ভব ?




পৃথ্বীজিৎ চট্টোপাধ্যায় :   ওঁ পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে

                                    পূর্ণস্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে।।

 

মহালয়া শব্দটির আক্ষরিক অর্থ- মহান যে আলয়। কিংবা, মহালয়াকে মহত্ত্বের আলয়ও বলা যেতে পারে। এই প্রসঙ্গে ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে বলা হয়েছে, যে ক্ষণে পরমাত্মায় অর্থাৎ পরব্রহ্মে লয় প্রাপ্তি ঘটে সেটিই হল মহালয়। কেননা, পরমাত্মাই হল পরব্রহ্ম। আর নিরাকার ব্রহ্মের আশ্রয়ই হল মহালয়। আবার, শ্রীশ্রী চণ্ডিতে ‘মহালয়’ বলতে ‘পিতৃলোককে ‘ বোঝানো হয়েছে। এই দিনে পিতৃপুরুষদের আত্মারা তাঁদের উত্তরসূরিদের কাছে বছরে একবার জল ও তিল পাওয়ার উদ্দেশ্যে মর্ত্যে আগমন করে থাকেন। বলা হয়ে থাকে, পিতৃলোককে স্মরণের অনুষ্ঠানই মহালয়া আর, এই পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে জলদান করার প্রথাটিকেই তর্পন বলে। তর্পণ কথাটি এসেছে ‘তৃপ’ থেকে। এই তৃপ কথার অর্থ হল সন্তুষ্ট করা।

এই তর্পনের মাধ্যমে পূর্বপুরুষদের আত্মারা জল পেয়ে শান্তি লাভ করে থাকেন। আত্মাই প্রকৃতপক্ষে ব্রহ্ম, তাই আত্মার শান্তি অর্থে ব্রহ্মেরও শান্তি। তবে, এই তর্পন কি শুধু গঙ্গাতেই করা যায়? নাকি, কোনো জলাশয়েও সেরে নেওয়া যায় এই তর্পনাদি প্রক্রিয়া ! এ বিষয়ে কি বলছে শাস্ত্র ? তার আগে জেনে নেওয়া যাক তর্পন বিধি সম্পর্কে।

তর্পন বিধি :

তর্পনের জন্য বিশেষত— গঙ্গা জল, চন্দন, কালো তিল এবং কুশ, তুলসীপাতা, হরিতকী, চাল, দূর্বা ঘাসের প্রয়োজন আবশ্যক। তবে তর্পনের বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। তর্পণ করার আগে স্নান করে প্রথমে পূর্ব দিকে মুখ করে নাভি পর্যন্ত জলে দাঁড়াতে হয়। হাতে ও কাঁধে গঙ্গামাটি লেপন করে জল বা মাটি দিয়ে কপালে তিলক কাটতে হয়। এএরপর তর্পণের শুরুতে আচমন করে ও করজোড়ে তিনবার বিষ্ণু মন্ত্র স্মরণ করতে হয়। ব্যক্তিকে তার বেদ অনুসারে তিনবার করে মন্ত্র পড়তে হবে এবং তিন বার জল দান করতে হবে। পিতৃ তর্পণ করতে ছয়টি কুশ একত্র করে তিনটি কুশ নিয়ে ও অনামিকা আঙুলে আংটির ভঙ্গীতে ধারণ করে তর্পণ করতে হবে। তর্জনী ও অঙ্গুষ্ঠের মধ্যভাগ উপবীতকে দক্ষিণ স্কন্ধে ঝুলিয়ে দিয়ে তিল-সহ জল দান করতে হবে।

তর্পন প্রক্রিয়া – কার পর কাকে জলদান করা হয় ?

সর্বপ্রথমে দেব তর্পণ, তারপর একে একে মনুষ্য তর্পণ, ঋষি তর্পণ, দিব্য তর্পণ, যম তর্পণ আর সর্বশেষ পিতৃ তর্পণ করা হয়। স্বর্গের পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণের মাধ্যমে জলদান করেই পিতৃপক্ষেরর অবসান হয় এবং দেবীপক্ষের সূচনা হয়। অনেকে তর্পণের পূর্ববর্তী দিনে তিনপুরুষের নামে পিণ্ড দান করে থাকেন।

গঙ্গা ছাড়া যে কোনো জলাশয়ে কি তর্পন সম্ভব ?

হ্যাঁ, শাস্ত্র মতে যে কোনো জলাশয়েই তর্পন করা সম্ভব। তবে গঙ্গায় এই তর্পন করা বিশেষ শুভ বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি মনে রাখা প্রয়োজন, পুকুরে বা বাড়িতে যেখানেই তর্পন করা হোক না কেন, অন্তত ৫-৬ ইঞ্চি উঁচু থেকে জলদান করতে হয়। তবে খেয়াল রাখা দরকার, যখন জলদান করা হয়, তা যেন কখনোই বৃষ্টির জলের সঙ্গে না মেশে। যদি বৃষ্টি হয় তাহলে ছাতা মাথায় দিয়ে তর্পণ করা বাঞ্চনীয়।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যে দুর্গাপুজোয় মদ বিক্রিতে আবগারি দফতরের আয় বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণ

Lakshmi Puja : এই মন্ত্র পাঠ করলে ভক্তের ওপর সদা সর্বদা প্রসন্ন থাকবেন মা লক্ষ্মী

জানেন কী কার অভিশাপে দেবী লক্ষ্মীকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল সমুদ্রগর্ভে?

নাচতে নাচতে মৃত্যু, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে করুণ পরিণতি যুবকের

বাবার খুনি ধরতে পুলিশে চাকরি মেয়ের, ২৫ বছর বাদে পাকড়াও করলেন কিলারকে

মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ, উৎসবের মরসুমে আকাশ ছুঁল সোনার দাম

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর