নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রতিবেশী যুবককে মনে ধরেছিল তিন বোনেরই। কিন্তু কেউই জানতেন না কারোর মনের কথা। মনে মনে যে একজনের কাছেই মন প্রাণ সঁপেছেন সেকথা অন্য কেউ ঘুণাক্ষরেই টের পাননি। এমনকি যে যুবককে নিয়ে এত কাণ্ড তিনিও না। কিন্তু তিন বোন মিলে একই সঙ্গে সারপ্রাইজ দিয়ে নিজের নিজের মনের কথা জানাতেই বাধে বিপত্তি। একসঙ্গে তিনজন প্রেয়সীকে ততক্ষণে কার্যত চোখ কপালে উঠেছে যুবকের। কিন্তু শেষমেশ তিনি কারোর মনই ভাঙেননি। জানা যাচ্ছে, তিন বোনেরই ভালোবাসার দাম দিয়ে এক সঙ্গে তিনজনকেই বিয়ে করেছেন তিনি। আর সেই খবরে প্রকাশ্যে আসতেই রাতারাতি সেলেব্রিটি ওই যুবক। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পরে গিয়েছে গোটা এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছে আফ্রিকার কঙ্গোয়। এই দেশেরই বাসিন্দা লুউইজো একসঙ্গে তিনজনকে বিয়ে করে রাতারাতি খবরের শিরোনামে এসেছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, লুউইজো একই দিনে একই সময়ে এক সঙ্গে তিনজনকে বিয়ে করেছেন এবং ঘটনাক্রমে ওই তিন জন পাত্রী একে ওপরের বোন। তাঁরা তিনজনেই লুউইজোকে ভালোবাসার প্রস্তাব দেন বলে খবর এবং তাঁদের তিনজনের প্রস্তাবে রাজি হয়েই লুউইজো তাঁদের তিনজনকে একসঙ্গে বিয়ে করেছে বলে খবর।
লুউইজোর পরিবার সূত্রে খবর, লুউইজোর সঙ্গে প্রথমে আলাপ হয় নাটালির। প্রথম সাক্ষাতেই একে অপরের প্রেমে পড়েন তাঁরা। এরপর নাটালিই তাঁর দুই বোন নাদেগে এবং নাতাশার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁরাও প্রেমে পড়েন লুউইজোর। এরপর তিন বোন মিলে একসঙ্গে লুউইজোকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। কারোর প্রস্তাবই ফেরাননি লুউইজো। তিন বোনকেই এক সঙ্গে বিয়ে করেন তিনি। অন্যদিকে তিন বোন যে বিবাহসূত্রে একে অপরের সতীন হলেন তা নিয়েও বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা নেই নাটালি, নাদেগে এবং নাতাশার। তাঁরাও এক বাক্যে স্বীকার করেছেন যে তাঁরা তিনজনই লুউইজোকে ভালবাসেন এবং আগামী দিনে তাঁরা চারজন একসঙ্গেই থাকতে চান।