নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ‘মুসলিম’ মুঘল শাসকদের নাম নিশানা রাখতে চাইছে না আচমকাই সংখ্যালঘুদের তোষণে নামা মোদি সরকার। শনিবার আচমকাই বদলে দেওয়া হল রাষ্ট্রপতি ভবনের মুঘল গার্ডেনের নাম। এখন থেকে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থানের নাম হবে অমৃত গার্ডেন। আচমকাই মুঘল গার্ডেনের নাম বদল নিয়ে ফের রাজনৈতিক তরজার পারদ চড়ছে। বিরোধীরা কটাক্ষের সুরে বলছেন, ‘নাম বদলের রাজনীতির পিছনেও ধর্মীয় আবেগে সুড়সুড়ি দেওয়ার মতো রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। নাম বদলের আড়ালে আসলে ইতিহাস বদলের ন্যক্কারজনক ষড়যন্ত্র রয়েছে।’
কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পরেই নাম বদলের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক রেল স্টেশন ও শহরের নাম বদল হয়েছে। এমনকী গত বছর বিজেপি শাসিত দিল্লি পুরসভার পক্ষ থেকেও রাজধানীর একাধিক রাস্তার নাম বদল করা হয়েছে। মুঘল শাসক অওরঙ্গজেবের স্মরণে রাখা অওরঙ্গজেব রোডের নাম বদল করে রাখা হয়েছে এপিজে আবদুল কালামের নামে। ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামের নাম বদলে রাখা হয়েছে প্রয়াত বিজেপি নেতা অরুণ জেটলির নামে।
এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনের উপ প্রেস সচিব নাভিকা গুপ্তা জানিয়েছেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অমৃত মহোৎসবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মুঘল গার্ডেনের নাম করা হয়েছে অমৃত উদ্যান। আগামিকাল রবিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু উদ্যানটির নব সংস্করণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। সাধারণ মানুষ যাতে বসন্ত মরসুমে নানা রঙের ফুলের বাহারি প্রদর্শনের সাক্ষী থাকতে পারেন, তার জন্য আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে খুলে দেওয়া হবে উদ্যানের দরজা। ২৬ মার্চ পর্যন্ত উদ্যানে প্রবেশের সুযোগ থাকবে।