নিজস্ব প্রতিনিধি, কুয়ালালামপুর: ইতিমধ্যেই আর্থিক দেউলিয়ার মুখোমুখি পাকিস্তান। আর্থিক সঙ্কট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে পাওনাদারদের বকেয়া অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না সরকার নিয়ন্ত্রিত বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স। আর পাওনাদার সংস্থার অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় মালয়েশিয়া আদালতের নির্দেশে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে পিআইএ’র একটি যাত্রী বোঝাই বিমান। শেষ পর্যন্ত আটক যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে আরও একটি বিকল্প বিমান পাঠায় পিআইএ কর্তৃপক্ষ। এমন ঘটনায় কার্যত আন্তর্জাতিক মহলে মুখ পুড়েছে পাকিস্তান সরকারের।
তবে এই প্রথম নয়, দু’বছর আগেও মালয়েশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমানকে আটক করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বকেয়া অর্থ পরিশোধ করে ওই বিমানটি ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। এমনিতেই ভুয়ো লাইসেন্সধারী পাইলট দিয়ে বিমান চালানোর অভিযোগে পিআইএ’র বিমান চলাচলের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যে কারণে চরম আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে পাকিস্তানের সরকারি বিমান সংস্থা।
বিদেশের মাটিতে পাকিস্তানের সরকারি বিমান সংস্থার বিমান বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও পিআইএ’র মুখপাত্র আবদুল্লাহ হাফিজ খান এ বিষয়ে বলেছেন, যে সংস্থার কাছ থেকে বিমান লিজ নেওয়া হয়েছিল, সেই এয়ারক্যাপ হোল্ডিংস এনভি’কে প্রাপ্য বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও কেন অর্থ আদায়ে ওই সংস্থা আদালতে মামলা দায়ের করল তা বুঝে উঠতে পারছি না। বাজেয়াপ্ত বিমান মুক্ত করতে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।