নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: টানা ১০ বছর রাষ্ট্রপতি থাকার পরে আগামী ২৩ এপ্রিল অবসর নিচ্ছেন আবদুল হামিদ। আর অবসরের আগে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তাঁর গ্রামের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমবারের মতো তাঁর গ্রামের বাড়িতে আসা প্রধানমন্ত্রীকে মধ্যাহ্নভোজে ১৬ পদের মাছ, কয়েক রকমের মাংস, অষ্টগ্রামের বিখ্যাত দই ও রসমালাই দিয়ে আপ্যায়ন করলেন রাষ্ট্রপতি। আর পাতে এত রকমের মাছ দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধু কন্যাও।
রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ ঢাকা থেকে সরাসরি কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রথমে ঘোড়াউত্রা নদীর চরে নবনির্মিত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ সেনানিবাসের’ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠান শেষে হেঁটেই পৌঁছে যান রাষ্ট্রপতির গ্রামের বাড়িতে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যরা। বেশ কিছুক্ষণ গল্পগুজব করেন সবাই মিলে। পরে মধ্যাহ্নভোজে সামিল হন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
সূত্রের খবর, প্রথমবার তাঁর গ্রামের বাড়িতে আসা প্রধানমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজনের জন্য এলাহি আয়োজন করা হয়। মধ্যাহ্ন ভোজে রাতাবোরো চাউলের সাদা ভাতের সঙ্গে রুই মাছ দোপেঁয়াজা, কাতল মাছ দোপেঁয়াজা, চিতল মাছ দোপেঁয়াজা, আইড় মাছ দোপেঁয়াজা, পাবদা মাছ দোপেঁয়াজা, গোলসা টেংরা মাছ দোপেঁয়াজা, কালিবাউশ মাছ দোপেঁয়াজা, শোল মাছ ভুনা, বাইম মাছ ভুনা, চিংড়ি মাছ ভুনা, বোয়াল মাছ ভুনা, গ্রাস কার্প মাছ ভুনা, বাচা মাছ ভুনা, রিটা মাছ মাখা-মাখা ঝোল, পাঙ্গাস মাছ মাখা মাখা ঝোল, মশুর ডাল, মুরগি, খাসি ও গরুর মাংস ছাড়াও ছিল স্যালাড, নানা রকমের মিষ্টি ও অষ্টগ্রামের বিখ্যাত দই ও রসমালাই।