এই মুহূর্তে




দশমহাবিদ্যা কী? কেন সতী মহাদেবকে দশমহাবিদ্যা দর্শন দিয়েছিলেন ?




পৃথ্বীজিৎ চট্টোপাধ্যায় :  কালী তারা মহাবিদ্যা ষোড়শী ভুবনেশ্বরী

                                        ভৈরবী ছিন্নমস্তা চ বিদ্যা ধূমাবতী তথা ।।

                                       বগলা সিদ্ধিবিদ্যা চ মাতঙ্গী কমলাত্মিকা

                                      এতা দশ মহাবিদ্যাঃ সিদ্ধবিদ্যা প্রকীর্ত্তিতাঃ ।।

হিন্দু সনাতন ধর্মে মহাবিদ্যা বা দশমহাবিদ্যার গুরুত্ব অপরিসীম। এই দশমহাবিদ্যা পরমাপ্রকৃতি আদ্যাশক্তি পার্বতীর সাকার দশটি বিশেষ রূপের সমষ্টিগত নাম। এই দশটি রূপ হল দেবী পার্বতীর দশটি স্বরূপ। দেবীত্বের এই ক্রমবিকাশে একদিকে যেমন রয়েছেন ভয়ংকরী দেবীমূর্তি, তেমনই আবার অন্য প্রান্তে রয়েছে মোক্ষ ও অভয়দায়িনী অপরূপা সুন্দরী দেবীমূর্তি । কথিত আছে, মুণ্ডমালা তন্ত্র অনুসারে দশমহাবিদ্যা হলেন কালী, তারা, ষোড়শী, ভুবনেশ্বরী, ভৈরবী, ছিন্নমস্তা, ধূমাবতী, বগলা, মাতঙ্গী ও কমলা। তবে মহাবিদ্যার সংখ্যা নিয়ে মতান্তরও রয়েছে। এমনকি একটি মতে মহাবিদ্যার সংখ্যা ২৭ টি বলা হয়েছে, কিন্তু, দেবীর দশটি রূপই সর্বজনস্বীকৃত।

জগৎ পালক শ্রী নারায়ণের দশাবতারের কথা আমরা সকলেই জানি, কিন্তু এটা জানেন কি ? যে, দেবীর দশ রূপের প্রত্যেকটিই নারায়ণের ঐ অবতার গুলিরই নারীরূপ। সৃষ্টির দশটি প্রধান বিষয়ও দেবীর এই দশটি রূপের মাধ্যমে ফুটে ওঠে।

দশমহাবিদ্যা শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ :

মহাবিদ্যা কথাটি মূলত সংস্কৃত শব্দ। সংস্কৃতে “মহা” শব্দের অর্থ মহৎ এবং “বিদ্যা” শব্দের অর্থ প্রকাশ, রূপ, জ্ঞান বা বুদ্ধি। শিব অর্ধাঙ্গিনী সতী তাঁর ১০ টি রূপ নিয়েছিলেন বলে সেই সংখ্যা বোঝাতে “দশমহাবিদ্যা” কথাটি বলা হয়ে থাকে।   

কেন মহাদেবকে দশমহাবিদ্যার দর্শন দিয়েছিলেন মাতা সতী ?

বৃহদ্ধর্ম পুরাণের কাহিনী অনুসারে জানা যায়, দেবাদিদেব শিব ও তাঁর স্ত্রী দাক্ষায়ণী সতীর মধ্যে একবার এক দাম্পত্য কলহই ছিল দশমহাবিদ্যার উৎসের মূল কারণ। কথিত আছে, সতীর পিতা দক্ষ শিব ও সতীর বিবাহে মত দেননি। তাই তিনি যখন বিরাট আড়ম্বরের সাথে যজ্ঞের আয়োজন করেন তখন নববিবাহিত শিব-সতীকে আমন্ত্রণ জানান নি। তখন বিনা আমন্ত্রণেই সতী পিতৃগৃহে যেতে চাইলে শিব বারণ করেন। কারণ, দেবাদিদেব জানতেন যে তার পরিণতি কি হতে পারে। এরপর সতী ক্রুদ্ধ হয়ে স্বামীর অনুমতি আদায়ের জন্য তৃতীয় নয়ন থেকে আগুন বের করতে থাকেন এবং কালী রূপ ধারণ করেন। হঠাৎ এই মূর্তি দেখে পরমেশ্বর শিব ভীত হয়ে এড়িয়ে যেতে উদ্যত হলে সতী দশমহাবিদ্যার রূপ ধারণ করে শিবকে দশ দিক দিয়ে ঘিরে ফেলেন। মহাদেব কালীকে তাঁর পরিচয় ও সতীর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে কালী বলেছিলেন, তিনিই স্বয়ং সতী ও তিনি তাঁর নানা মূর্তির প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এরপর শিব অনিচ্ছাকৃত ভাবে তাকে দক্ষযজ্ঞে উপস্থিত থাকার অনুমতি দান করেন। সতী তখন শিবকে বলেন, হে দেবদেব ! তুমি যদি না যাও তবে আমাকে অনুমতি দাও, আমি পিতাকে যথোচিত শিক্ষা দিতে তাঁর যজ্ঞ নষ্ট করতে সেখানে যাই। তারপর দেবীর অন্য সব মূর্তি অন্তর্হিত হলে সতী একাই অপূর্ব সাজসজ্জায় সজ্জিতা হয়ে সেই দিব্য রথে উঠে দক্ষালয়ের দিকে গমন করেছিলেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

পুজোর মধ্যেই সরকারি বাসভবন থেকে উচ্ছেদ করা হল খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে

মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ১৪টি শৃঙ্গ জয় করে রেকর্ড নেপালি কিশোরেরর

বেলগাছকে দুর্গা রূপে পুজো, আজও বলির নিয়ম চলে আসছে শীল বাড়িতে

যোগী রাজ্যে পুলিশের সামনেই বিজেপি বিধায়ককে সপাটে চড় আইনজীবীর

ট্রেনের ধাক্কায় চুরমার হয়ে গেল গাড়িটি, দেখুন ভাইরাল সেই ভিডিও

1600 বছর পুরনো রোমান সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেল তুরস্কে

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর