এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

স্বামীজির জীবনে কিছু মজার ঘটনা

আমরা কমবেশি সকলে স্বামী বিবেকানন্দকে চিনি ও জানি। হিন্দুধর্মের ধ্বজাধারীরা বিবেকানন্দকে পূজো করেন অন্য দৃষ্টিভঙ্গীতে। যদিও খুব কম সংখ্যক হিন্দুত্ববাদী বিবেকানন্দ সম্পর্কে জানে। তারা যত না জানে ততই মঙ্গল। কারণ, জানলে বিবেকানন্দ আর বিবেকানন্দ থাকবেন না। বিবেক আর আনন্দ দুটোই ঘুচে গিয়ে তিনি ঠাকুর বিবেকানন্দ হয়ে উঠবেন। বিবেকানন্দের পূজারীরা স্বামীজিকে মানুষ ভগবান রূপে দেখেন।

যার বক্তৃতা শুনে শিকাগো ধর্মসভায় উপস্থিত অতিথি-অভ্যাগতরা বিস্মিত হয়েছিলেন, তার জীবনে ঘটেছিল মজার ঘটনা। এই প্রতিবেদনে তেমন কিছু ঘটনা তুলে ধরব।

প্রথম ঘটনার কথা আমাদের সকলের জানা।

১) বিবেকানন্দের বাবা বিশ্বনাথ দত্ত পেশায় আইনজীবী। তাই, বাড়িতে মক্কেলদের আসা-যাওয়া লেগেছিল। তাদের জন্য রাখা থাকত নানা ধরনের হুঁকে। প্রত্যেক ধর্মের মানুষের জন্য আলাদা-আলাদা হুঁকো। একদিন বিবেকানন্দ সেই হুঁকোগুলি একবার করে টান দিচ্ছেন, এমন সময় বাবা ঢুকলেন। দেখে ছেলে একটা করে হুঁকো তুলছে আর টান দিচ্ছে। তিনি জানতে চাইলেন, প্রত্যেক হুঁকোয় মুখ দেওয়া কেন। বিবেকানন্দের জবাব ছিল জাত যায় কি না, সেটাই তিনি দেখতে চাইলেন।

২) এটা বেলুর মঠের ঘটনা। জোসেফিন ম্যাকালাউড স্বামী বিবেকানন্দের পাশ্চাত্ত্য অনুরাগীদের মধ্যে অন্যতম। স্বামীজি তাঁকে স্নেহ করে জো বলে ডাকতেন। স্বামীজির ইচ্ছে হল তাঁকে নিয়ে মজার করার। স্বামী সুবোধানন্দ, যাকে বিবেকানন্দ খোকা বলে ডাকতেন, বললেন খোকা – তুই এই খাবারটা জোকে দিয়ে আয়। তোকে thank you বললে তুই don’t care বলে আসবি। স্বামীজির আদেশানুসারে সুবোধানন্দ জোসেফিনকে খাবার দিয়ে এসেছেন। জোসেফিনও যথারীতি thank you বলেছেন। সুবোধানন্দ স্বামীজির শেখানো কথা – don’t care বলে সঙ্গে সঙ্গে ফিরলেন। ব্যস, জোসেফিন রেগে আগুন।

জো ভীষণ উত্তেজিত হয়ে হাঁফাতে হাঁফাতে বিবেকানন্দের কাছে এসে রেগে ফেটে পড়লেন। বললেন – what right has this lad to humiliate me? জো যেতেই স্বামীজি হেসে ফেললেন

৩) গিরীশ চন্দ্র ঘোষের সঙ্গে কথা চলছে। গিরীশ ঘোষকে স্বামীজি জিসি বলে ডাকতেন। তো জিসিকে স্বামীজি একবার বললেন – তুই যাই ল। সাড়ে তিন হাতের মধ্যে বিরাট পূর্ণ ব্রহ্ম কখনও আসতে পারে না। গিরীশচন্দ্র বললেন – হ্যাঁ হ্যাঁ হয়। কেন হবে না?

শুরু হল তর্ক। কেউ কারও অবস্থান থেকে সরতে নারাজ। তর্ক উচ্চগ্রামে উঠল। স্বামীজি অত্যন্ত শান্তভাবে কথা বলে যাচ্ছেন। আর জিসি তত উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন। বহুক্ষণ কেটে গেল। গিরীশচন্দ্র আর নিজেকে সামলে রাখতে পারছেন না। স্বামীজিও গিরীশচন্দ্রকে ক্রমে উত্তেজিত করে তুলছে। শেষ গিরীশচন্দ্র চিৎকার করে মাটিতে হাত চাপড়ে বলে উঠলেন – হ্যাঁ রে শালা এসেছে। আমি দেখেছি।

স্বামীজি তৎক্ষণাৎ জিসিকে আলিঙ্গন করলেন। দোতালা থেকে সিঁড়িতে নামার সময় স্বামীজি সঙ্গী বাবুরাম মহারাজকে বলছেন জিসির সঙ্গে দুটো false talk করা গেল।আমার গুরুর এমন একজন শিষ্য আছে, যাকে বিশ্বাসের অতল পাহাড় থেকে কেউ নামাতে পারবে না।

আরও একটি ঘটনার কথা তুলে ধরা যাক।এটা অবশ্য বিদেশে।

স্বামীজি তখন লন্ডনে আইন পড়ছেন। পিটার্স নামে এক অধ্যাপক বিবেকানন্দকে একেবারে সহ্য করতে পারতেন না। সব সময় ফন্দি করতেন কী করে বিবেকানন্দকে জব্দ করা যায়। একদিন দুইজনে খাবার টেবিলে খেতে বসলেন। পিটার্স স্বামীজিকে বললেন- একই টেবিলে একটা শুয়োর আর একটা পাখি কখনই একসঙ্গে বসে খায় না। জবাবে বিবেকানন্দ বললেন – ঠিক আছে, আমি উড়ে চলে যাচ্ছি। এই বলে তিনি অন্য একটি টেবিলে গিয়ে বসলেন।

ক্লাসে একদিন পিটার্স পডা়চ্ছেন। বিবেকানন্দকে প্রশ্ন করলেন – তুমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছো। দেখলে দুটি ব্যাগ পড়ে রয়েছে। একটি ব্যাগে রয়েছে জ্ঞান, দ্বিতীয় ব্যাগে স্টারলিং। তুমি কোনটা নেবে। বিবেকানন্দ বললেন – স্টার্লিং বোঝাই ব্যাগটা নেবে। পিটার্স বললেন, আমি তোমার জায়গায় থাকলে জ্ঞানের ব্যাগটা নিতাম। জবাব শুনে বিবেকানন্দ পিটার্সকে বললেন – এটাই স্বাভাবিক। যার যেটা অভাব সে তো সেটাই নেবে। পরের ঘটনা আরও মজার।

পিটার্স একবার বিবেকানন্দের পাতায় লিখে দিলেন ‘idiot’। বিবেকানন্দ খাতাটা দেখে কিছুক্ষণ বাদে পিটার্সের কাছে গিয়ে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বললেন – মি. পিটার্স, তুমি আমার উত্তরপত্রে গ্রেড দাওনি। শুধু সই করেছ।

 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রেকর্ড দামে নিলাম টাইটানিকের যাত্রীর  সোনার ঘড়ি

ইরাকের জনপ্রিয় টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গুলি করে খুন

বয়স শুধুমাত্র সংখ্যা, ৬০ বছরে বুয়েনস আয়ার্সের সুন্দরীর খেতাব জয়

কাজে ইস্তফা দিয়েই  অফিসের সামনে  নাচ কর্মীর

ফিলিস্তিনিদের সমর্থনের অপরাধে মার্কিন মুলুকে গ্রেফতার অধ্যাপক

কাঁচালঙ্কা চিবিয়ে খান, বেটে মুখে মাখেন, নদিয়ার শেখর সিকদারের কীর্তিতে হতবাক সকলে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর