নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ‘তিনি আমার প্রাণের আরাম, আত্মার শান্তি, মনের আনন্দ’ ৭ পৌষ শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতী-র জন্য এ এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। ৭ই পৌষ মহর্ষির দীক্ষার দিন তথা শান্তিনিকেতনের বার্ষিক উৎসব প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন – “শান্তিনিকেতনের সাম্বৎসরিক উৎসবের সফলতার মর্মস্থান যদি উদঘাটন করে দেখি তবে দেখতে পাব, এর মধ্যে সেই বীজ অমর হয়ে আছে,যে বীজ থেকে এই আশ্রম-বনস্পতি জন্ম লাভ করেছে সে হচ্ছে সেই দীক্ষাগ্রহণের বীজ। সেই ৭ই পৌষ এই শান্তিনিকেতন আশ্রমকে সৃষ্টি করেছে এবং এখনও প্রতিদিন সমৃদ্ধ করছে। এবছর ৭ই পৌষ মহর্ষির দীক্ষার ১৭৮ বছর,আশ্রম প্রতিষ্ঠার ১৫৮ বছর,মন্দির প্রতিষ্ঠার ১৩০ বছর, ব্রহ্ম বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১২০ বছর, বিশ্বভারতীর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের ১০৩ বছর ও বিশ্বভারতী সূচনার ও পরিষদ গঠনের ১০০ বছর। এই উপলক্ষ্যে একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশিত হল ২৩ ডিসেম্বর।
কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়-র বাসভবনকে কেন্দ্র করে এই যে প্রতিষ্ঠান তার মূল উদ্দেশ্য শান্তিনিকেতন ও শান্তিনিকেতন আশ্রমের গড়ে ওঠার ইতিহাস, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে ধারণ ও বহন করা। এবছর বিশ্বভারতী পরিষদ গঠনের শতবর্ষকে স্মরণে রেখে নিবেদন করা হল বিশেষ উপাসনা ও প্রকাশিত হল একটি বিশেষ স্মারক গ্রন্থ মোহর-বীথিকা অঙ্গনে। যা কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়-র বাসভবন প্রাঙ্গণ। এই বিশেষ উপাসনায় আচার্যের ভূমিকায় ছিলেন বিশিষ্ট আশ্রমিক ও পাঠভবনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুপ্রিয় ঠাকুর, মন্ত্রপাঠে প্রাক্তন অধ্যাপিকা কল্পিকা মুখোপাধ্যায়। গানে অংশগ্রহণ করেন চন্দন মুন্সী, অঙ্কন রায়, প্রিয়ম মুখোপাধ্যায়, নিবেদিতা সেনগুপ্ত, ঋতপা ভট্টাচার্য, শরণ্যা সেনগুপ্ত, ঋতজা চৌধুরী, মধুজা চট্টরাজ।নীলাঞ্জনা সেনমজুমদার, অভীক ঘোষ (পাঠে)
যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন সীতেশ হালদার,সৌগত দাস, সুতনু সরকার,দিলীপ বীরবংশী, বিশ্বায়ন রায়।
এই বিশেষ স্মারকগ্রন্থে লিখেছেন পবিত্র সরকার, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, প্রণবরঞ্জন রায়, সুশোভন অধিকারী, বিশ্বজিৎ রায়, অশোক কুমার মুখোপাধ্যায়, গৌতম ভট্টাচার্য, অমিত্রসূদন ভট্টাচার্যের মত ব্যাক্তিত্বরা। যার ডিজিটাল সংস্করণ ইতিমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ঠাকুর বাড়ির অন্যান্যদের রচিত ব্রহ্মসঙ্গীত এই উপাসনার এক বড় অংশ জুড়ে ছিল। এদিনের এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছিল বেদ গান তমীশ্বরানাং দিয়ে। মন্ত্র পাঠ করেন কল্পিকা মুখোপাধ্যায়,পাঠে ছিলেন অভীক ঘোষ,নীলাঞ্জনা সেন মজুমদার প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা এবং পরিচালনায় ছিলেন প্রিয়ম মুখোপাধ্যায়।
