নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দ্বিতীয় জমানার শেষ ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই ভাষণে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় যেমন তিনি ‘আমিত্ব’ ফলিয়েছেন তেমনই দিশাহীন ভাষণে বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে গিয়ে ‘পরিবারবাদ’, ‘দুর্নীতি’ আর ‘তোষণ’-কে হাতিয়ার করেছেন। চাপের মুখে মণিপুরের জাতি হিংসার প্রসঙ্গ বাধ্য হয়ে টেনেছেন বটে কিন্তু ওই জঘন্য ঘটনায় কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার কথা মানতে চাননি।
মঙ্গলবার সকালে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ৯০ মিনিটের ‘জ্ঞানগর্ভ’ ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই ভাষণে তিনি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমাতেই বিরোধীদের নিশানা করেছেন। ১২ বার ‘পরিবারবাদ’, ১১ বার ‘ভ্রষ্টাচার’ ও ৮ বার ‘তুষ্টিকরণ’ শব্দ ব্যবহার করেছেন। দেশবাসীকে অবশ্য এবার ‘পরিবারজন’ বলে সম্ভাষন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আম আদমির মনজয়ে ‘পরিবারজন’ শব্দ ব্যবহার করেছেন ৪৮ বার। যে স্বাধীনতার কারণে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও দেশবাসীর সামনে ভাষণ দেওয়ার মওকা পেয়েছেন মোদি সেই ‘স্বাধীনতা’ শব্দ উচ্চারণ করেছেন মাত্র ১৬ বার।
আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপির পাখির চোখ যে মহিলাদের ভোট, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ‘নারী’ বা ‘মহিলা’ শব্দ ব্যবহার করেছেন ৩৫ বার। তবে যে যুব প্রজন্মের ভোটে গত দু’বারের ভোটে বাজিমাত করেছেন মোদি, সেই ‘যুব সম্প্রদায়’-কে মাত্র ১২ বার সম্ভাষণ করেছেন। ‘সামর্থ্য’ শব্দ ব্যবহার করেছেন ৪৩ বার। ‘সংকল্প’ শব্দ ব্যবহার করেছেন ১৯ বার। মাত্র পাঁচ বার ‘সামাজিক ন্যায়’ শব্দ ব্যবহার করেছেন। ‘বিকাশ’ শব্দ উচ্চারণ করেছেন ১১ বার। ‘গরিব’ বা ‘গরিবি’ উঠে এসেছে ১০ বার। আর যে মূল্যবৃদ্ধি মানুষের নাভিঃশ্বাস তুলে দিয়েছে সেই ‘মেহঙ্গাই’-র কথা উঠে এসেছে মাত্র পাঁচ বার।