নিজস্ব প্রতিনিধি: গুটি গুটি পায়ে ১৯০ বছর ছুঁয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করার পথে এগিয়ে চলেছে জোনাথন (world’s oldest land animal Tortoise Jonathan)। বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ এই কচ্ছপের জন্ম ১৮৩২ সালে। বর্তমানে তার আবাসস্থল সেন্ট হেলেনা দ্বীপ। কিন্তু ১৯০ বছরে (190th birthday) পা দিলে কী হবে, বর্ষীয়াণ এই কাছিম সঙ্গিনীদের সঙ্গে বহাল তবিয়তে আছে।
প্রসঙ্গত গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবন্ত ভূমিপ্রাণির খেতাব পেয়েছিল জোনাথন দ্য স্যেচেলেস। ১৮৩২ সালে ভারত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপ স্যেচেলেসে তার জন্ম। জন্মের প্রায় অর্ধশতাব্দী পর সেন্ট হেলেনা দ্বীপে যায় প্রাণিটি। ১৮৮২ সাল থেকে দক্ষিণ আটলান্টিকের এই দ্বীপে বসবাস করে আসছে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্রাণিটি। সেই সময় সেন্ট হেলেনা দ্বীপ ছিল ব্রিটিশদের উপনিবেশ। ওই দ্বীপে স্যর উইলিয়াম গ্রে উইলসনকে (Sir William Grey-Wilson) জোনাথনকে উপহার হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে গভর্নর হন তিনি।
১৯০ তম বছরে পা দিয়ে কেমন কাটছে জোনাথনের জীবন যাপন? বর্তমানে সেন্ট হেলেনার গভর্নরের সরকারি বাসভবনের প্ল্যান্টেশন হাউসে অবসর জীবনযাপন করছে প্রবীণ প্রাণিটি। তার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ স্ট্যাম্প প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি জন্মদিন উপলক্ষে সপ্তাহ শেষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জোনাথনের প্রিয় খাবার দিয়ে বানানো কেক কেটে রবিবার এই অনুষ্ঠান শেষ হবে। কোন কোন খাবার খেতে পছন্দ করে বয়স্ক জোনাথন? তার দেখভালের দায়িত্বে থাকা পশুচিকিৎসক জো হলিন্স জানান, জোনাথন গাজর, লেটুস, শসা, আপেল ও নাশপাতি খেতে পছন্দ করে। তিনি তাকে নিয়মিত খেতে দেন। জো হলিন্সের কণ্ঠ শুনে জোনাথন সাড়া দেয় বলে জানান তিনি। তবে বয়স জনিত কারণে তার ঘ্রাণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি কমছে। সেন্ট হেলেনা কর্তৃপক্ষ জানায়, বয়স বাড়লেও এখনো সঙ্গ পছন্দ করে কচ্ছপটি। ডেভিড, এমা ও ফ্রেড নামে তিন সঙ্গিনীর সঙ্গে সময় কাটায় জোনাথন।
প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জোনাথনকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবন্ত ভূমিপ্রাণি হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। তার আগে সবচেয়ে বেশি বয়সী কচ্ছপের নাম ছিল তুই মালিলা। ১৯৬৫ সালে ১৮৮ বছর বয়সে এটি মারা যায়।