নিজস্ব প্রতিনিধি: এ যে পুরো উল্টো। কোথায় মুখ আর কোথায় পায়ুছিদ্র। এমন ভুল হয় কী করে! বয়স মাত্র ২। শিশু ভুগছিল পাইলসের সমস্যায়। চিকিৎসক দেখে জানিয়েছিলেন অস্ত্রোপচার (OPARATION) করতে হবে। তবে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যসেবিকাদের ভুলে একরত্তির অপারেশন হল জিভে!
এমন ঘটনায় শোকে কাতর একরত্তির পরিবার। বিস্মিত সকলে। এ যে অন্যায়। ডাক্তার এবং নার্সদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার শিকার খুদে। তার নাম আবদুর রহমান আরিয়ান। ৯ ডিসেম্বর দুপুরে তার অপারেশন হয় লক্ষ্মীপুরের আউয়াল শিশু সার্জারি সেন্টার এবং জেনারেল হাসপাতালে। আর ‘শিকার’ হওয়া শিশুটির বাড়ি সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের টুমচর গ্রামে। তার বাবা নিজাম উদ্দিন একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। মার্কেটিংয়ের কাজের জন্য তিনি থাকেন নোয়াখালির চাটখিল উপজেলায়। শিশুর পরিবারের মূল অভিযোগের তির চিকিৎসক জামাল সালেহ উদ্দিন আরজুর বিরুদ্ধে। তিনি আবার চাঁদপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং একটি হাসপাতালের মালিক।
শিশুটির শোকগ্রস্ত মা লিপি আক্তার জানিয়েছেন, পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে। মায়ের প্রশ্ন, এমন ভুল কী করে হতে পারে?! এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হাসপাতাল চত্ত্বর জুড়ে চাঞ্চল্য দেখা যায়।
ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে অভিযুক্ত চিকিৎসক তাঁর ভুল স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ভুলে এমন অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে এতে ক্ষতি হবে না। কিছু হলে সব দায় দায়িত্ব তাঁর। তাঁর বয়ান তিনি লিখিত ভাবে দেবেন বলেও জানান। তবে খবর লেখা পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ জানালে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিশু রোগীর পরিবার অভিযোগ জানালে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
শিশুর বাবা বলেন, ‘থানায় অভিযোগ দায়ের করব’। জানা গিয়েছে আজ, শুক্রবার শিশুটিকে সকাল ১১টার সময় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। সাড়ে ১২টার সময় নার্স এসে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। এরপর শিশুটিকে অচেতন করার ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তারপরে তাঁর বাবাকে বের করে দিয়ে অপারেশন শুরু করা হয়। আর বেরিয়ে নার্সরা জানান, জিভে অপারেশন করা হয়েছে। এতেই কান্নার রোল পড়ে ক্ষুদের পরিবারে। শিশুর মায়ের আর্তনাদ, অপারেশন হওয়ার কথা ছিল পাইলসের।