নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ১৫ আগস্ট তালিবান পুনরায় আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে আফগান বিমান পরিষেবা। বিশ্বের অধিকাংশ দেশই আফগানিস্তানের সঙ্গে কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এর জেরেই ব্যাপক আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে আফগানিস্তানের বিমান সংস্থাগুলি। আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের দাবি, গত ১৫ আগস্ট থেকে আফগানিস্তানের আকাশপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখনও পর্যন্ত আনুমানিক প্রায় ২ কোটি মার্কিন ডলার লোকসান হয়েছে আফগান বিমান সংস্থা গুলির।
পাশাপাশি আফগানিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করলে আগে প্রতিটি দেশের থেকে ৫ বিলিয়ন দিনার শুল্ক পেত আফগান সরকার। কিন্তু আকাশপথ ব্যবহার বন্ধ থাকার কারণে এখন সেই রাস্তাও বন্ধ। ফলে বিগত দেড় মাসে আফগান সরকারের প্রায় ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে।
আফগান বিমান সংস্থা সূত্রে খবর, তালিবান দখলের আগে এই দেশে অন্তত ১১টি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা সক্রিয়ভাবে কাজ করত। কিন্তু এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ। আন্তঃদেশীয় বিমান পরিষেবা চালু থাকলেও উড়ানের সংখ্যা খুবই কম। বিমান সংস্থার অধিকর্তারা মনে করছেন, একমাত্র আকাশপথ ব্যবহারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে তবেই এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।
অন্যদিকে, বিমান সংস্থার পক্ষ নিয়েই আফগান বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কাবুলের বিমানবন্দরে যেসমস্ত প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিয়েছিল সেগুলো এখন আর নেই। তাই আন্তর্জাতিক এবং আন্তঃদেশীয় দুই ক্ষেত্রেই বিমান ওঠানামা করতে এখন আর কোনও সমস্যা নেই। বিমানবন্দরের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ১৫ আগস্টের আগে পর্যন্ত প্রতিদিন চারশোরও বেশী বিমান আফগানিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করত। প্রত্যেক বিমানপিছু ৭০০ দিনার করে পেত আফগান সরকার। কিন্তু এখন আকাশপথ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিমান সংস্থার পাশাপাশি বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে আফগান সরকারও।