নিজস্ব প্রতিবেদক: বকটুই(Bagtui) কাণ্ডের তদন্তে নেমে এই প্রথম গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। মুম্বাই থেকে ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছিল এই চার অভিযুক্তের নাম। ধৃতদের নিয়ে আসা হচ্ছে মুম্বাই থেকে। করা হবে জিজ্ঞাসাবাদ।
জানা গিয়েছে, বাপ্পা শেখ ও সাবু শেখ সহ চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। ধৃতরা মুম্বাইয়ে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। এফআইআরে ১৩ নম্বরে নাম ছিল বাপ্পা ও ১৫ নম্বরে নাম ছিল সাবু শেখের। জানা গিয়েছে, ধৃতরাই ভয়ঙ্কর সেই রাতে সোনা শেখের বাড়িতে ঢুকে মারধর চালায় ও আগুন লাগিয়ে দেয়। এও জানা গিয়েছে, মার্চের ২১ তারিখ এই ঘটনা ঘটিয়েই ২২ তারিখ মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ধৃতরা। ঠিক দু’দিন পর এই চারজন পালিয়ে আসে মুম্বাইয়ে। ধৃতরা সকলেই অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের ঘনিষ্ঠ।
রামপুরহাট (Rampurhat) কাণ্ডে এই প্রথম গ্রেফতার করল সিবিআই। এর আগে এই কাণ্ডের জন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে পুলিশের (Police) জালে ধরা পড়েনি এই চারজন। বৃহস্পতিবার তারা ধরা পড়েছে মুম্বাই থেকে। এক্ষেত্রে সেখানে কর্মরত অন্যান্য পরিযায়ী শ্রমিকদের গোপন সাহায্য নিয়েছিল সিবিআই। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নিয়ে আসা হচ্ছে রাজ্যে। তাদের আলাদা আলাদা করে এবং বিভিন্নজনের সামনে বসিয়ে করা হবে জেরা। লিখিয়ে নেওয়া হবে ধৃতদের বয়ান। সেই সঙ্গে রেকর্ড করা হবে ধৃতদের জবানবন্দী। জিজ্ঞাসা করা হবে এই ঘটনায় আর কারা কারা জড়িত। প্রসঙ্গত তদন্তে নেমে সোনা শেখের বাড়ি থেকে সিবিআই আগেই সংগ্রহ করেছিল আঙুলের ছাপ। আশেপাশের যে বাড়িতে ওইদিন আগুন লাগানো হয়েছিল সেখান থেকেও সংগ্রহ করা হয়েছিল আঙুলের ছাপ। বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেখানে বলা হয়েছিল, অধিকাংশ প্রমাণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। বিধ্বস্ত এলাকায় ঘটনার পর বহু লোকের যাতায়াত হয়েছে। সকালে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর এদিন বিকেলেই অভিযুক্ত চারজনকে ভিন রাজ্য থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই।