নিজস্ব প্রতিবেদক: বৃহস্পতিবার ভবানীপুরের শীতলা মন্দিরে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ দিন ব্যাপী দেবী আরাধনার উদ্বোধন করেন তিনি। এই নিয়ে চতুর্থবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই মন্দিরে এলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, তিনি সর্বধর্মের সাধক। তার চেয়েও বড় মানবিকতার। বলেন, শুক্রবার তিনি সিঙ্গুরে যাবেন।
ভবানীপুরের কাঁসারিপাড়া এলাকার শীতলা মন্দিরে বৃহস্পতিবার এসে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মিষ্টি ও শাড়ি নিবেদন করলেন দেবীর উদ্দেশ্যে। আরতিও করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, ১৯৫ বছরে পা দিল কাঁসারিপাড়ার শীতলা পুজো।
এদিন তিনি বলেন, ভবানীপুর মানে সর্বধর্ম ও সর্ব জাতি সমন্বয়। বলেন, রাজনীতি শুরুর আগে থেকেই তিনি এই অঞ্চলে নিয়মিত আসতেন এবং এখনও আসেন। যে কোনও ভোটের আগেই পুজো দেন শীতলা মন্দিরে। বাড়িতেও আরধনা করেন শীতলা দেবীর। কোথাও যাওয়ার আগে বা এই অঞ্চলে এলেই তিনি এই মন্দিরের মাটি স্পর্শ করে যান।
তিনি বলেন, মন্দিরে আসা মনে মনকে বড় করা। এদিন সকলের উদ্দেশ্যে উদার হওয়ার বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, মানুষে মানুষে বিশ্বাস রাখতে হবে। খারাপ নয়, ভালো মানুষকে দেখে শিখতে হবে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে মিশতে হবে, তাতেই মন খুলে হাসার রসদ আছে। এরপরেই বলেন সিঙ্গুর যাবেন আগামীকাল।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী শুক্রবার তিনি সিঙ্গুরে যাবেন। বলেন, কৃষকরা ন্যায়বিচার পেলে তিনি সন্তোষী মায়ের মন্দির গড়ে দেবেন বলেছিলেন। কৃষকদের জন্য অনশন করার সময় তিনি সন্তোষী মায়ের ব্রত করেছিলেন বলেও জানান। তারপরে বলেন, কৃষকরা ন্যায় বিচার পেয়েছে। তিনি সন্তোষী দেবীর মন্দির গড়েও দিয়েছেন। সিঙ্গুর গিয়ে সেই মন্দির দর্শন করে আসবেন তিনি।