নিজস্ব প্রতিনিধি: ইউক্রেন ছেড়েছেন বহু বছর। বিবাহসূত্রে দমদমে শ্বশুরবাড়ি। কিন্তু সে দেশের পরিস্থিতি একেবারেই ভালো নয়। ভাই গত তিন বছর সামরিক বাহিনীতে কাটিয়ে দেশে ফেরে। কিন্তু দেশ আবার যুদ্ধে জড়িয়ে গিয়েছে। তাই, ভাইকে আবার যুদ্ধে জেতে হবে। মন একেবারে ভালো নেই দমদমের বাসিন্দা ইরিনার। দেশের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম টিভির পর্দা আর খবরের কাগজ। ফলে সেখানের আসল চিত্রটা তাঁর কাছে স্পষ্ট নয়।
কীভাবে কলকাতায় ইউক্রেন থেকে কলকাতায় এলেন ইরিনা? ইরিনার সঙ্গে পরিচয় হয় হাওড়ার আন্দুলের বাসিন্দা সৌরভের। সৌরভ ইউক্রেনে মেডিক্যাল পড়তে গিয়েছিল। ২০০৪ সালে থার্ড ইয়ারে পড়ার সময় টের্নোপিল শহরের ইরিনার সঙ্গে পরিচয়। সেখান থেকে প্রেম, তারপর বিয়ে। ২০০৯ সালে বিয়ের পরে ইরিনা পাকাপাকি চলে আসেন হাওড়ায়। পরে সেখান থেকে উঠে আসেন দমদমে।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ইরিনা জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে ইউক্রেনের দূরত্ব প্রায় পৌনে ছ হাজার কিলোমিটার। তাই, দু-তিন বছর অন্তর দেশে যাই। এখন মনে হচ্ছে এক দৌড়ে ইউক্রেনে চলে যাই। মন একেবারে ভালো নেই।কিন্তু যাবই বা কী ভাবে? যাওয়ার সব পথ বন্ধ। প্রভু যীশুর কাছে তো প্রার্থনা করছি। আর হিন্দু বাড়ির বউ হওয়ার কারণে লক্ষ্মীর পাঁচালিও পড়ছি। দুজনের কাছেই আমার প্রার্থনা, তারা যেন ভাইকে রক্ষা করে। ফোনে সব সময় ভাইকে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে সব মিলিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন ইরিনা।