নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী শনিবার অর্থাৎ ৮ জুলাই রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নির্বাচন(Panchayat Election)। তার জন্য গোটা রাজ্য থেকে ৫০ হাজার বাস(Buses) তোলা হবে। বেসরকারি বাস মালিকদের(Private Bus Owners) তরফে দাবি তোলা হয়েছিল ভোটের জন্য বাস তোলা হলে তার ভাড়া যেন বাড়ানো হয়। কিন্তু রাজ্যের পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বেসরকারি বাস-মিনিবাস সহ সমস্ত গাড়ির ভাড়া(Rent) অপরিবর্তিত রাখছে রাজ্য সরকার(West Bengal State Government)। আর এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলি।
আরও পড়ুন এগিয়ে আসছে কী লোকসভা নির্বাচন, EVM’র পরীক্ষা শুরু ১ অগস্ট থেকে
যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে নবান্নের সঙ্গে নরমে-গরমে চাপানউতোর চলছিল মালিক সংগঠনগুলির। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি সহ নানা কারণে জেরবার মানুষের ওপর বাড়তি ভাড়ার বোঝা চাপাতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তবে খাতায়কলমে ভাড়া না বাড়লেও কোভিডের পর থেকে আম জনতাকে বাড়তি ভাড়া দিয়েই বেসরকারি বাসে চাপতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ইচ্ছামতো ভাড়া আদায়ের অভিযোগও উঠছে। এই আবহে ভোটের জন্য যেসব যানবাহন তোলা হবে তার ভাড়াও না বৃদ্ধি হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে বাস-মিনিবাস মালিকদের একাধিক সংগঠন। পঞ্চায়েত ভোটের অনেক আগে থেকেই ভোটের কাজে তুলে নেওয়া বাস-মিনিবাসের দিনপিছু ভাড়া বৃদ্ধির দাবি তোলা হয়েছিল। অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতি, জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের মতো কয়েকটি সংগঠন লিখিত আবেদন জানিয়েছিল। তারপরও ভাড়ার হার এক পয়সাও না বৃদ্ধি হওয়ায় বিস্মিত তারা।
আরও পড়ুন প্রভাবশালীরা কেন Dubai মুখী, খুঁজতে নামল ED
এই বিষয়ে অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমরা বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে ভাড়ার হার ২৩০০ টাকা ও ১৭০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে যথাক্রমে ৩৫০০ টাকা ও ৩০০০ টাকা করার দাবি জানিয়েছিলাম। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, রাজ্য সরকার তা গ্রাহ্য করেনি। দু’বছর আগের ভাড়াতেই আমাদের বাস মিনিবাস দিতে বাধ্য করেছে। এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত অনভিপ্রেত।’ আরও সুর চড়িয়ে জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটের পরিবহণ খরচ বেসরকারি বাসমালিকদের পকেট থেকে তোলার পরিকল্পনা করেছে সরকার। গ্রামে বাস দিয়ে মালিকের পকেটে ৩০০ টাকা থাকবে। ভোটে এত টাকা খরচ হচ্ছে, অথচ মালিকরাই বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। আর পরিবহণ দফতর ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকা পালন করছে।’