নিজস্ব প্রতিনিধি: মাত্র কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের অন্যতম কর্তা আবু নঈম সোহাগের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত নেয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। ফিফার অভিযোগ, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন-এর সম্পাদক পদে থাকার সময় বহু অনিয়ম করেছেন নঈম। কাজেই তাঁকে দু বছরের ফুটবলের যাবতীয় কাজকর্ম দূরে সরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন-এর সভাপতি কাজি সালাউদ্দিন বলেছেন, যেহেতু ঘটনাটি আমার সময়কালে ঘটেছে, ‘কাজেই তার দায় আমাকে নিতেই হবে’। বলে দায়সারা গোছের একটি মন্তব্য করেছেন। যদিও এই সম্বন্ধে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা সালাউদ্দিনের দিকে এখনও অভিযোগের আঙুল তোলেনি।
ফিফা সূত্রে খবর, বাংলাদেশ ফুটবলে এই দুর্নীতি চলে আসেছে ২০১৬-২০১৭ সাল থেকে। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তৎকালীন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্তাদের একাধিকবার সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছিল ফিফার তরফ থেকে। কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বাকি কর্তারা সেইভাবে সব হননি। নাকি সব জেনেশুনেও ধৃতরাষ্ট্র হয়ে বসেছিলেন।
আরও জানতে পড়ুন : চেন্নাই ম্যাচেও জয় অব্যাহত রাখতে চান বিরাটরা
সূত্র মারফত খবর, গত রবিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনে কাজী সালাউদ্দিন এই বিষয় নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন-এর কার্য নির্বাহী সদস্যরা। সেই সভায় সালাউদ্দিন বলেন, ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার এই আর্থিক দুর্নীতির বিষয় নিয়ে যে ৫১ পৃষ্ঠার রায় দিয়েছে। তা পড়ে তিনি অনুভব করেছেন চিঠি চালাচালি ও অর্থ লেনদেনের সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা সহাজ ছিলেন না। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের অর্থ বিভাগের ভুলও চোখে পড়েছে।
তবে সালাউদ্দিনের এই অভিযোগ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক কর্তাই মানতে চাইছেন না। তাঁদের মতে, এখন সবকিছু দোষ কার্যনির্বাহীদের ঘাড়ে চাপিয়ে এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় খুঁজছেন সালাউদ্দিন।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সম্পাদকের ওপর ফিফার নিষেধাজ্ঞা আসার একদিন পরেই জরুরি বৈঠকে বসেন সভাপতি। ওই বৈঠকে উপস্থিত কার্যনির্বাহী সদস্যদের কাছে তিনি জানান আপাতত ফিফার নিয়ম অনুযায়ীই তাঁরা এখন। এবং সোহাগের পরবর্তী হিসেবে কাকে বেছে নেওয়া হবে তাও ঠিক হবে শুক্রবারের জরুরি বৈঠকে।