নিজস্ব প্রতিনিধি: পিছিয়ে থেকেও ভাগ্যের সহায়তায় এফসি গোয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে পৌঁছল মোহন বাগান। সবুজ মেরুনের হয়ে গোল করেছেন জেসন কামিংস ও আর্মান্দো সাদিকু। এফসি গোয়ার হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন নোয়া। আগামী রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ফাইনালে চির শত্রু ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হবে সবুজ মেরুন শিবির। ১৯ বছর বাদে ফের শতাব্দী প্রাচীন প্রতিযোগিতায় কলকাতায় দুই প্রধান মুখোমুখি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলতে শুরু করে এফসি গোয়া। ছোট-ছোট পাস খেলে মোহনবাগান রক্ষণে হানা দিতে থাকেন নোয়ারা। প্রথম ৫ মিনিটেই বাগানের গোল লক্ষ্য করে দু’টি আক্রমণ শানায়। মাঝমাঠের দখল নিতে ব্যর্থ হয় সবুজ মেরুন ব্রিগেড। জঘন্য ফুটবল খেলতে থাকেন বাগানের ফুটবলাররা। মাঝে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শট মারেন পেত্রাতোস। কিন্তু সেই শট প্রতিহত করে দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন গোয়ার গোলরক্ষক ধীরাজ। ২২ মিনিটের মাথায় হুগো বুমোসের দুর্বল পাস ধরে বেশ খানিকটা দৌড়ে গিয়ে বাগানের জাল কাঁপিয়ে দলকে এগিয়ে দেন গোয়ার নোয়া। গোল খাওয়ার পরে কিছুটা গা ঝাড়া দিয়ে ওঠেন জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। শেষ পর্যন্ত ৪২ মিনিটে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। বাগানের ফুটবলার সাহালকে ফাউল করেন গোয়ার রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড়। খালি চোখে দেখে মনে হচ্ছিল ফাউল বক্সের বাইরে হয়েছে। কিন্তু রেফারি পেনাল্টি দেন। গোয়ার ফুটবলারদের কোনও আপত্তি গ্রাহ্য করেননি রেফারি। বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে গোল করেন জেসন কামিংস।
প্রথমার্ধ অমীমাংসিতভাবে শেষ হওয়ার পরে দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য ঝাঁপায় দুই দলই। তবে প্রথমার্ধের তুলনায় অনেকটা গুছিয়ে খেলে সবুজ মেরুন শিবির। ৫৭ মিনিটের মাথায় ফ্লপ হুগো বুমোসকে তুলে সাদিকুকে মাঠে নামান বাগান কোচ ফেরান্দো। আর তাঁর ওই এক সিদ্ধান্তই মোহনবাগান সমর্থকদের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনে। ৬১ মিনিটের মাথায় সন্দেশ জিঙ্ঘনের ভুলে বক্সের বাইরে বল পান পরিবর্ত হিসাবে নামা আর্মান্দো সাদিকু। বক্সের বাইরে থেকেই ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে তেড়েফুড়ে আক্রমণে নামে এফসি গোয়া। কিন্তু মোহনবাগানের জমাট রক্ষণভাগ ভেদ করতে পারেনি।