নিজস্ব প্রতিবেদন: সুরজিৎ এত তাড়াতাড়ি ‘মাঠ’ থেকে অবসরের ঘোষণা করবেন, সেটা বিন্দুমাত্র আন্দাজ করতে পারেননি বিদেশ বসু থেকে সুব্রত ভট্টাচার্যের কেউই।
ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় কার্যত বাকরুদ্ধ। খবরটা শোনার পর তাঁরা যেন নিজেদের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন সুভাষ ভৌমিক। কিছুদিন আগে বলাই বাঞ্ছনীয়। কারণ, জানুয়ারি মাস তো সবে শেষ হয়েছে। আর এটা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়। তাই, অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্রীড়া জগতের দুই দিকপালের চলে যাওয়ায় বাংলার মাঠ যে রুক্ষ মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। আর জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ – এই সামান্য সময়ের মধ্যে চিরকালের জন্য বিদায় নিলেন সুভাষ ভৌমিক, লতা মঙ্গেশকর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, বাপ্পি লাহিড়ি। কার্যত সকলেই মুখের ভাষা হারিয়েছেন।
সুরজিত সেনগুপ্তের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে গিয়ে বিদেশ বসু স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন। জানিয়েছেন, সামান্য কদিনের মধ্যে একসঙ্গে এতোজনের বিদায়ের খবর শুনতে হবে, তা তিনি কল্পনাও করতে পারছেন না। একই প্রতিক্রিয়া সুব্রত ভট্টাচার্যের। জানিয়েছেন, সুরজিত সেনগুপ্ত যেমন বড় মাপের ফুটবলার ছিলেন, ছিলেন বড় মনের মানুষ। কিন্তু চাল-চলন ছিল একেবারে সাধারণ মানুষের মতো। অসুস্থ থাকাকালীন তিনি সুরজিৎ সেনগুপ্তের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ভয় পেতেন। পাছে কোনও খারাপ খবর শুনতে হয়। কিন্তু সেই খারাপ খবর শুনতে হল বৃহস্পতিবার দুপুরে।
সুরজিৎ সেনগুপ্তের প্রয়াণের খবরে মন ভালো নেই আরও এক দিকপাল খেলোয়াড় ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়ের। ফুটবল ময়দানের শিল্পী অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তিনি আশা করেছিলেন, এই যুদ্ধে সুরজিৎ সেনগুপ্তের জয় অবধারিত। কিন্তু জীবনযুদ্ধে হেরে যাবেন, সেটা ভাবতে পারছেন না ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়।