নিজস্ব প্রতিনিধি: বড়দের বিশ্বকাপে গত বছর ব্যর্থ হয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপেরা। শনিবার ছোটদের বিশ্বকাপে শিরোপা জিততে ব্যর্থ হলেন ফ্রান্সের ছোটরা। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার মানাহান স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাসকর ম্যাচে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে বিশ্বসেরা হলেন প্যারিস ব্রুনাররা। ইউরোর পরে বিশ্বকাপ জিতে রেকর্ড গড়ল জার্মানির খুদেরা।
সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালের ছাড়পত্র জোগাড় করে নিয়েছিল জার্মানি। অন্য সেমিফাইনালে মালিকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিল ফ্রান্স। গত জুনে অনূর্ধ্ব-১৭ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে জিতে শিরোপা নিজেদের করে নেয় জার্মানি। এদিন মানাহান স্টেডিয়ামে সেই হারের প্রতিশোধ নিতে নেমেছিল ফরাসিরা। কিন্তু শুরু থেকেই রক্ষণকে শক্তিশালী রেখে আক্রমণে ঝাঁপিয়েছিল জার্মানরা। শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্যারিস ব্রুনার, নোয়া ডারভিচরা। অধিকাংশ সময়ে বল দখলে রাখতে পারলেও আক্রমণে জার্মানির সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছিল না ফরাসিরা। ২৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জার্মানিকে এগিয়ে দেন ব্রুনার। তার পরে আরও কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিলেন ডারভিচরা। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় জার্মানরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল শোধের জন্য ঝাঁপায় ফ্রান্স। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। ৫১ মিনিটের মাথায় প্রতি আক্রমণ থেকে ফ্রান্সের জালে বল জড়িয়ে দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন নোয়া ডারভিচ। ওই গোলের দুই মিনিটের মাথায় অর্থাৎ ৫৩ মিনিটে আক্রমণ তুলে নিয়ে গিয়ে গোল করে ব্যবধান কমান ফ্রান্সের সাইমন বুয়াবে। এর পরেই মাথা গরম করে ফেলেন জার্মান ফুটবলাররা। ৬৯ মিনিটে বিশ্রি ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান জার্মানির উইনার্স মার্ক ওসাওয়ে। ১০ জনের দলে দাঁড়ায় জার্মানরা। গোল বাঁচাতে আক্রমণ ভুলে রক্ষণে নেমে পড়েন জার্মানির অধিকাংশ খেলোয়াড়। ৮৫ মিনিটে এক দুরন্ত প্রচেষ্টা থেকে দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেয় ফ্রান্স। জার্মানির জালে বল জড়ান মাথিস আমোউগাউ। সমতায় ফেরার জন্য আরও মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়েছিল ফ্রান্স। কিন্তু নির্ধারিত সময় এবং সংযুক্র সময়েও গোলের দেখা পায়নি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আর পেনাল্টি শুট আউটে বাজিমাত করে প্রথমবারের মতো বিশ্বসেরার তকমা তুলে নেয় জার্মানি।