নিজস্ব প্রতিনিধি: একা কুম্ভ হয়ে লড়াই চালালেন ডেভিড মিলার। আর তাঁর শতরানের দৌলতে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়াল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করে ৪৯.৪ ওভারে ২১২ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা।
বৃহস্পতিবার ইডেন গার্ডেন্সে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিন আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। মেঘলা আবহাওয়ার সুযোগ নিয়ে প্রথম থেকেই আগুন ঝরাতে থাকেন দুই অজি পেসার মিচেল স্টার্ক ও জস হ্যাজলউড। প্রথম ওভারের শেষ বলে শূন্য রানে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে সাজঘরে ফেরান মিচেল স্টার্ক। সেই ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই বিশ্বকাপে দুরন্ত ছন্দে থাকা প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক-কে (৩) ফিরিয়ে দেন হ্যাজলউড। ১১তম ওভারে প্রোটিয়াদের বড় ভরসা তথা হিটম্যান আইডেন মার্করামকে (১০) ফিরিয়ে জোর ধাক্কা দেন স্টার্ক। পরের ওভারে রাশি ভ্যান ডার ডুসেনকে (৬) ফিরিয়ে কার্যত প্রোটিয়াদের ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দেন হ্যাজলউড। ২৪ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে চরম বিপাকে পড়ে প্রোটিয়ারা। পঞ্চম উইকেটে জুটি বেঁধে সতর্কভাবে খেলে সেই ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালান হাইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। মাঝপথে বৃষ্টি নামায় ১৪ ওভার শেষে খেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়াররা। ওই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল চার উইকেটে ৪৪।
বৃষ্টি থামার পরে ফের খেলা শুরু হলে অজি বোলারদের পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটেন ক্লাসেন ও মিলার। খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে মারকাটারি ব্যাট করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত ৩১ তম ওভারে বল করতে এসে প্রোটিয়া শিবিরে জোড়া ধাক্কা দেন ট্র্যাভিস হেড। প্রথমে ক্লাসেনকে (৪৭) ফিরিয়ে ৯৬ রানের জুটি ভাঙেন। পরের বলেই শূন্য রানে ফেরান মার্কো জানসেনকে। পর পর দুই উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর পরে গেরাল্ড কোয়েৎজের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়ে দলকে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন মিলার। কোয়েৎজকে (১৯) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিংস। কেশব মহারাজকে (৪) দ্রুত সাজঘরে ফেরান স্টার্ক। অজি বোলারদের শাসন করে ১১৪ বলে নিজের শতরান তুলে নেন মিলার। তবে শতরানের পরেই প্যাট কামিংসের বলে ফিরে যান তিনি। কাগোসো রাবাডাকে (১০) ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস গুটিয়ে দেন প্যাট কামিংস।