নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: ঘরের মাঠে শুক্রবার রাতে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে হেসেখেলেই জয় পেল লখনউ সুপার জায়ান্টস। ৬ বল বাকি থাকতেই হাতে আট উইকেট নিয়ে জিতে গিয়েছে লখনউ। সৌজন্যে অধিনায়ক কে এল রাহুল ও কুইন্টন ডি’ককের অনবদ্য ব্যাটিং।শেষের দিকে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং করেন নিকোলাস পুরানও। প্রথমার্ধে ব্যাট হাতে জ্বলে ব্যর্থ হয়েছিলেন চেন্নাইয়ের অধিকাংশ ব্যাটার। দ্বিতীয়ার্ধে বল হাতেও দাগ কাটতে পারলেন না দীপক চাহার-মুস্তাফিজুর রহমান-তুষার দেশপাণ্ডে-রবীন্দ্র জাদেজারা।
এদিন লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল চেন্নাই। সেষের দিকে বুড়ো হাড়ে ভেল্কি দেখিয়ে দলকে লড়াইয়ের জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। জযের জন্য ১৭৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে কোনও অযথা ঝুঁকি নেননি লখনউ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও কুইন্টন ডি’কক। মাথা ঠাণ্ডা করে দেখেশুনেই খেলতে থাকেন দুজন। দীর্ঘক্ষণ জুটি ভাঙতে না পেরে হতাশ হয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন চেন্নাইয়ের বোলাররা। মাত্র ৩১ বলেই ৫টি চার ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে অর্ধসতরান পূর্ণ করেন লখনউ অধিনায়ক। ১০.৫ ওভারেই ১০০ রানের গণ্ডি টপকে যায় লখনউ। লোকেশ রাহুলের পরে অর্ধশতরান তুলে নেন কুইন্টন ডি’কক-ও। তিনি অর্ধশতরান করতে নেন ৪১ বল। দুজনে যেভাবে চেন্নাইয়ের বোলারদের শাসন করছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল যেন নেট প্র্যাকটিস করছেন। অবশেষে ১৫ ওভারে বল করতে এসে কুইনটন ডি’কককে (৪৩ বলে ৫৪) আউট করে জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। ততক্ষণে অবশ্য লখনউয়ের স্কোর বোর্ডে ১৩৪ রান যোগ হয়ে গিয়েছে।
ডি’কক ফেরার পরে লোকেশ রাহুল ও নিকোলাস পুরান দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। ১৮তম ওভারে মাথিশ পাথিরানা ফেরান লখনউ অধিনায়ককে। সাজঘরে ফেরার আগে ৯টি চার ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ বলে ৮৪ রান করেন রাহুল। তিনি ফেরার সময়ে দলের স্কোর ছিল ১৬১। জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭ বলে ১৭ রান। হাতে ছিল আট উইকেট। তাই কোনও তাড়াহুড়োর পথে হাঁটেননি পুরান ও মার্কাস স্টোইনিস। ৬ বল বাকি থাকতেই দলকে জয় এনে দেন দুজনে। ১২ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন পুরান। আর ৭ বলে ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন স্টোইনিস।