নিজস্ব প্রতিনিধি: গুজরাতের বিরুদ্ধে পেরেছিলেন। কিন্তু সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দলকে জেতাতে পারলেন না শশাঙ্ক সিংহ আর আশুতোষ শর্মা। দুজনের দুর্দান্ত লড়াই ব্যর্থ হল। মঙ্গলবার টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ঘরের মাঠে প্যাট কামিংসদের কাছে হার স্বীকার করতেই হলো শিখর ধাওয়ানদের। ১৮৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ১৮০ রানেই থেমে গেল পঞ্জাবের দৌড়। অর্থাৎ মাত্র ২ রানে হার মানতে হল প্রীতি জিন্টার দলকে। দলকে জেতাতে না পারলেও এদিনও গোটা স্টেডিয়ামের দর্শকদের কুর্ণিশ আদায় করে নিলেন শশাঙ্ক আর আশুতোষ।
এদিন প্রথমে ব্যাট করে নীতীশ রেড্ডির আনবদ্য ব্যাটিংয়ের সুবাদে ১৮২ রান তুলেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ঘরের মাঠে প্যাট কামিংসের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল পঞ্জাব। ২০ রানের মধ্যেই তিন উইকেট খুঁইয়ে ফেলে। ফিরে যান জনি বেয়ারস্টো, প্রভসিমরান সিং ও অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। স্টেডিয়ামে থাকা পঞ্জাব সমর্থকদের মুখ ততক্ষণে পাংশুর আকার নিয়েছে। চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে দলকে খানিকটা টেনে তোলেন স্যাম কুরান ও সিকান্দার রাজা। স্যামকে (২৮) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন টি নটরাজন। তার পরে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সিকান্দার রাজা ও শশাঙ্ক সিংহ। দুজনে ৩৩ রান যোগ করেন। রাজাকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ফের নিজেদের দখলে নেন হায়দরাবাদের জয়দেব উনাটকট। ৯১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফের বিপদে পড়ে পঞ্জাব।
ষষ্ঠ উইকেটে জিতেশ শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যান শশাঙ্ক। যদিও জিতেশ বেশিক্ষণ টেকেননি। মাত্র ১৯ রান করে ফিরে যান। জিতেশ ফেরার সময়ে ২৭ বলে ৬৯ রান প্রয়োজন ছিল পঞ্জাবের। ওই অসম্ভব লক্ষ্যকে তাড়া করতে থাকেন শশাঙ্ক ও আশুতোষ। প্যাট কামিংসের এক ওভারে ১৭ রান নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। জয়দেব উনাদকটের শেষ ওভারে পর পর ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন আশুতোষ। শেষ দুই বলে প্রয়োজন ছিল ১০ রানের। পঞ্চম বলে আসে মাত্র এক রান। আর তখনই ম্যাচের ফলাফল ঠিক হয়ে যায়। শশাঙ্ক ২৫ বলে ৪৬ ও আশুতোষ ১৫ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন।