নিজস্ব প্রতিনিধি: সামনেই পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের আসর। তার পরই ভারতে বসতে চলেছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মেগা ইভেন্ট। ইতিমধ্যেই ভারতে বিশ্বকাপে খেলবে বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তানে আয়োজিত এশিয়া কাপে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে এখনও জলঘোলা চলছে।
উল্লেখ্য, এশিয়া কাপে ভারতের ম্যাচগুলি পাকিস্তানের পরিবর্তে অন্য কোনও নিরেপক্ষ স্থানে যেখানে ভারতের ম্যাচ খেলতে কোনও অসুবিধা নেই সেই দেশে হবে বলে পিসিব-র পক্ষ থেকে ঘোষণাও করা হয়েছে। তবে এশিয়া কাপে ভারত যদি একান্তই অংশ না নেয়, তাহলে এই উপমহাদেশে আইসিসি-র টুর্নামেন্টেগুলিতে তার প্রভাব পড়বে বলেই মনে করেন পিসিবি চেয়ারম্যান।
এই প্রসঙ্গে পাক ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ভারত যদি এশিয়াকাপে অংশ নিয়ে আমাদের হাইব্রিড মডেলকে স্বাগত জানায়, তাহলেও আমরাও একই পদ্ধিততে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশ নেবো। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপের আসরে নিরেপক্ষ ভেন্যু হিসেবে ঢাকা বা অন্য কোনও শহরে তাদের ম্যাচগুলি খেলবে। অবশ্যই তা যদি ভারত সম্মত হয়। এবং একই পদ্ধতিতে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচগুলিও হবে। ভারত যদি আমাদের দেওয়া এই প্রস্তাবে রাজি হয়, তাহলে আমার মনে হয় ভারতের সঙ্গে যে রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক সমস্যা আমাদের আছে তা অনেকটাই প্রশমিত হবে বলে আমি মনে করি।
এরপর নাজম শেট্টি বিশ্বকাপ নিয়ে ভারতকে তোপ দেগে বলেন, বিসিসিআই বিশ্বকাপে ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচটি করতে চলেছে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। কিন্তু তার আগেই আমরা আইসিসি-কে এবং বিসিসিআইকে আমাদের নিরাপত্তার জন্য ভারতের দুটি জায়গায় ম্যাচ দেওয়ার কথা বলেছিলাম। সেই দুটি জায়গা হল চেন্নাই ও কলকাতা। কিন্তু বিসিসিআই আহমেদাবাদে আমারদের সঙ্গে ভারতের ম্যাচটা হবে বলে জানাল। এর মানেই হচ্ছে, আমরা যাতে ভারতে না আসি বিশ্বকাপ খেলতে।
আরও জানতে পড়ুন: কুস্তিগীরদের অভিযোগের ভিত্তিতে মানবাধিকার কমিশনের চিঠি কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রককে
এরপর পিসিবির চেয়ারম্যান আরও একটি মারাত্মক মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি বলেন, আমি কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য না করতে চাইলেও বলতে বাধ্য হচ্ছি, বিশ্বকাপে ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচটি যে শহরে হবে সেটা হল আহমেদাবাদ। যে শহরে আমাদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে একটি প্রশ্নচিহ্ন থাকতেই পারে। কাজেই এই বিষয়ে যত কম বলা যায় ততই ভালো। অর্থাৎ ভারত আকার-ইঙ্গিতে বোঝাতে চাইছে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাট শহরের লোক, তাই আহমেদাবাদে আমাদের ম্যাচ দিয়ে আমাদের সতর্ক থাকার বার্তা দিতে চাইছে বিসিসিআই।
তবে বাহারিনে আয়োজিত এশিয়া কাপের আয়োজনের যে বৈঠক ডাকা হয়েছিল, তাতে হাইব্রিড মডেল নিয়ে উপস্থিত সদস্যরা এখনও তাঁদের মতামত জানায়নি। আমরা অপেক্ষা করছি সদস্যরা কি বলেন সেই দিকেই।
যেহেতু এখনও সময় বাকি আছে, তাই দেখা যাক শেষ পর্যন্ত এশিয়া কাপ বা বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলা নিয়ে ভারত বনাম পাকিস্তানের কূটনৈতিক মত পার্থক্যের লড়াই কোথায় গিয়ে শেষ হয়।