নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: হামাস-ইজরায়েল লড়াইকে কেন্দ্র করে আড়াআড়িভাবে বিভক্ত গোটা দুনিয়া। একদল সরাসরি খুনি ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদল, গাজায় ইজরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে। ক্রীড়া আঙিনাতেও ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। একাধিক ক্রীড়াবিদই ফিলিস্তিনির পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে জরিমানা গুনলেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার মঈন খানের ছেলে আজম খান।
গতকাল রবিবার জাতীয় টি টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় লাহোর ব্লুজের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল করাচি ওয়াইটস। ওই ম্যাচে ব্যাট হাতে ৩৫ রান করেন আজম খান। আর তাঁর ব্যাট করার সময়েই দর্শক থেকে শুরু করে আম্পায়ারদের নজরে পড়ে, ব্যাটের নিচের অংশে ফিলিস্তিনি পতাকার স্টিকার রয়েছে। ম্যাচ শেষে আজমকে তলব করেন ম্যাচ রেফারি মোহাম্মদ জাভেদ। শেষ পর্যন্ত তাকে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগেও ফিলিস্তিনি পতাকার স্টিকারযুক্ত ব্যাট নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন মঈন পুত্র। ওই সময়েই ভবিষ্যতে ওই ব্যাট নিয়ে মাঠে নামতে আজম খানকে বারণ করা হয়েছিল। কারণ ব্যাটের নিচের অংশে কোনও দেশের স্টিকার লাগানো নিষিদ্ধ। কিন্তু ওই নিষেধ শোনেননি আজম। আইসিসির পোশাক ও সরঞ্জাম বিধি লঙ্ঘন করার জন্য রবিবার তাঁর ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়।
বিশ্বকাপ চলাকালীন ক্রিকেট মাঠে গোটা পাকিস্তান ক্রিকেট দল সমর্থন জানিয়েছিল ফিলিস্তিনকে। শতরান করার পরে তা ফিলিস্তিনিদের উৎসর্গ করেছিলেন পাকিস্তানের মহম্মদ রিজওয়ান। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পিঞ্চ হিটার মঈন আলীও ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।