নিজস্ব প্রতিনিধি: একেই বলে মধুর প্রতিশোধ। গত বছর সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদকে। আর বুধবার রাতে গতবারের চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছল স্প্যানিশ ক্লাবটি। যদিও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে দুই পক্ষের। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ অমীমাংসিত থাকায় ফলাফলের নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে।
প্রথম লেগে দুই দলের সাক্ষাৎকার শেষ হয়েছিল অমীমাংসিতভাবে। ৩-৩ গোলে ড্র করে মাঠ ছেড়েছিল ইউরোপের অন্যতম দুই শক্তিশালী দল। তবে বুধবার রাতে ম্যান সিটির ঘরের মাঠে শুরু থেকেই অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক খেলতে শুরু করে রিয়াল। মাঝে-মধ্যে প্রতি আক্রমণে উঠে গিয়ে ম্যান সিটির রক্ষণের পরীক্ষা নিচ্ছিলেন রদ্রিগো-টমাস ক্রুজরা। তেমনই এক প্রতি আক্রমণ থেকে ১২ মিনিটে ম্যান সিটির জাল কাঁপিয়ে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান তারকা রদ্রিগো। ওই গোলের পরেই রক্ষণের শক্তি বাড়ায় কার্লোস আনচেলেত্তির শিষ্যরা। গোল হজমের পরে শোধের জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপান পেপ গুয়ার্দিওয়ালার ছেলেরা। যদিও রিয়ালের রক্ষণ ভেদ করতে পারেননি আর্লিং হল্যান্ড- ফিল ফোডেন-জ্যাক গ্রিলিশরা। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় ম্যান সিটি। বার বার রিয়ালের রক্ষণে হানা দেন ফিল ফোডেন-জ্যাক গ্রিলিশরা। কিন্তু তিন কাঠির নিচে দুর্ভেদ্য রক্ষী হয়ে দাঁড়ান রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন। ৭৬ মিনিটে রিয়াল রক্ষণের খেলোয়াড় আন্তিনিও রুডিগারের ভুলে গোল করে ম্যান সিটিকে সমতায় ফেরান কেভিন ডি ব্রুইনা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচ অমীমাংসিত থাকে। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৫ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন রিয়ালের আন্তিনিও রুডিগার। কিন্তু ৬ গজ দূর থেকে বল ম্যান সিটির গোলে রাখতে পারেননি তিনি। অতিরিক্ত সময়ে কোনও গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। রিয়ালের পক্ষে লুকা মদরিচ পেনাল্টি শট মিস করেন। উল্টোদিকে ম্যান সিটির বেনার্দো সিলভাও ও মাতেও কোভিচের শট রুখে দেন রিয়ালের গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় রিয়াল।