আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের পর এবার ইরান।
রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের খেলদুনিয়ার সঙ্গে জড়িতদের অনেককেই দেখা গিয়েছিল দেশের পাশে দাঁড়াতে। কেউ তুলে নিয়েছিলেন অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। কেউ দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে যোগ দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীতে। এবার সেই রিটেলিকাস্ট ইরানে।
হিজাব ইস্যুতে পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হাদিস নাজাফি এবং পুলিশ লকআপে মৃত মাশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে মুখ খুললেন সে দেশের জাতীয় ফুটবল তারকা এবং জনপ্রিয় স্ট্রাইকার সর্দার আজমাউন। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে স্ট্রাইকার জানিয়েছেন, ইরানে যা চলছে তা দেখার পর চুপচাপ হাত গুটিয়ে বসে থাকা যায় না। হতে পারে, মুখ খোলায় আমার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে সরকার। সেটা জেনেও বলতে বাধ্য হচ্ছি, হিজাব নিয়ে পুলিশ লকআপে এক তরুণীর মৃত্যু, একজনকে নির্বিচারে পুলিশের গুলি করে হত্যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। নিন্দা করার মতো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।
জানা গিয়েছে, সর্দার বর্তমানে জাতীয় দলের সঙ্গে অস্ট্রিয়া সফরে রয়েছেন। সেনেগালের সঙ্গে তাদের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। অস্ট্রিয়ায় বসেই সরকারের বিরদ্ধে বোমা ফাটান এই স্ট্রাইকার। টুইটার হ্যান্ডেলে তাঁর টুইট আমায় দল থেকে বের করে দেওয়া হলেও ভয় পাই না। এই সরকারকে ধিক্কা দেওয়ার মতো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। কড়া ভাষায় এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করি। লজ্জা লজ্জা।
জানা গিয়েছে, সরকারের এই দমনপীড়ন নীতির প্রতিবাদে জাতীয় দলের আরও দুই খেলোয়াড় ইন্সটাগ্রামে তাদের মতামত জানিয়েছিলেন। পরে তারা সেই পোস্ট মুছে দেন।