নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: নুন আনতে গেলে পান্তা ফুরিয়ে যায়। পরিবার আর্থিক (econocmic condition) অবস্থা এতটাই করুণ যে খুব কম বয়সেই অর্থ রোজগার করতে পথে নামতে হয়েছিল হাওড়ার ছেলে অঞ্চিতাকে। অল্প বয়সেই পিতৃহারা (lost father) । ভাই ছোটো। বাবা সামান্য দিনমজুর (labourer)। স্বপ্ন দেখতেন ছেলে একদিন বড়ো মাপের অ্যাথলিট (athlete) হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। বাবার স্বপ্ন (dream) আজ পূরণ করেছে অঞ্চিতা। কমনওয়েলথ গেমসে (CWG) ইতিহাস তৈরি করে জীবনের এক নতুন ইতিহাস তৈরি করলেন। হাওড়ার ( Howrah) দেউলপুরে এখন উৎসবের মেজাজ। পদকজয় বাবাকে উৎসর্গ করেছেন অঞ্চিতা। পরিবারের প্রতি জ্ঞাপন করেছেন কৃতজ্ঞতা।
পদক জয়ের পর সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানায়, ‘আমার খেলোয়াড় জীবনে সব থেকে বড় ঘটনা (major event )পরিবারের সাহায্য না পেলে কোনওভাবেই কমনওয়েলথের মতো একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা সম্ভব হত না। আমার এই সাফল্যের (medal) পিছনে পরিবারের বিরাট অবদান রয়েছে। এই পদক আগামীদিনে আমাকে শুধু উৎসাহ বা অনুপ্রেরণাই দেবে না, জীবন এগিয়ে নিতে যেতে আমাকে সাহায্য করবে।মনে হয় না আর পিছনে ফিরে দেখতে হবে।’
অঞ্চিতা আরও বলেন, ‘এই পদক জয়ের পিছনে বহু বছরের পরিশ্রম রয়েছে। সেই পরিশ্রমের ফসল এই পদকপ্রাপ্তি। আর এই সাফল্যের পিছনে আমার স্বার্থত্যাগের থেকে অনেক বেশি স্বার্থত্যাগ করেছে ছোট ভাই, মা। আমার কোচ। সাহায্য করেছেন আরও অনেকে। তাদের প্রত্যেকের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি। ’