নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেনেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করলেন বিরাট কোহলি-শ্রেয়স আইয়াররা। আর দুজনের চওড়া ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ল টিম ইন্ডিয়া। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২৬ রান তুলেছে রোহিত বাহিনী। লুঙ্গি এনগিডি থেকে শুরু মার্কো জানসেন, তাবরেজ শামসিদের কার্যত তুলোধনা করেছেন রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যরা।
রবিবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাঁর লক্ষ্য ছিল, প্রথমে ব্যাট করে বড় রান সংগ্রহ করে চাপে ফেলা। সেই লক্ষ্যে প্রথম থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলতে থাকেন তিনি। ক্রিজের অন্য প্রান্ত আঁকড়ে ছিলেন শুভমন গিল। ষষ্ঠ ওভারে এসে রোহিত শর্মাকে (২৪ বলে ২৪) ফেরান কাসিগো রাবাডা। ১১তম ওভারে এসে শুভমন গিলকে (২৩) ফিরিয়ে দেন কেশব মহারাজ। এর পরে তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের আক্রমণ সামাল দেওয়ার পাশাপাশি রান মেশিন সচল রাখেন বিরাট কোহলি ও শ্রেয়স আইয়ার। শচিন তেন্ডুলকরের সর্বাধিক শতরানের রেকর্ড গড়ার হাতছানি থাকায় সতর্কভাবেই ব্যাট করতে থাকেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। যদিও উল্টোদিকে থাকা শ্রেয়স আইয়ার বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন। দুজনেই অনায়াসে অর্ধশতরান তুলে নেন। এ নিয়ে একদিনের ক্রিকেটে ৭৮ তম অর্ধশতরান করলেন বিরাট। তৃতীয় উইকেটে ১৩৪ রান যোগ হওয়ার পরে লুঙ্গি এনগিডির বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শ্রেয়স (৭৭)।
পাঁচ নম্বরে নামা কে এল রাহুল দেখেশুনেই খেলছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক মার্কো জানসেনের বলে রাশি ভ্যান ডার ডুসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কে এল রাহুল। ৬ নম্বরে নেমে সূর্যকুমার যাদব নেমেই তাণ্ডব শুরু করেন। তবে তিনিও বেশিদূর এগোননি। ১৪ বলে ২২ করে ফেরেন। এর পরে বিরাটের সঙ্গে জুটি বাঁধেন রবীন্দ্র জাদেজা। ইডেনে প্রায় ৭০ হাজার দর্শক যে রেকর্ডের সাক্ষী হতে এসেছিলেন, সেই রেকর্ড গড়লেন কিং কোহলি। ১১৯ বলে একদিনের ক্রিকেটে নিজের ৪৯তম শতরান পূর্ণ করে লিটল মাস্টার শচিন তেণ্ডুলকরকে ছুঁয়ে ফেলেন। শেষের দিকে মারমুখি মেজাজে ব্যাট করে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন জাদেজা।