নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: শুরুর ধাক্কা সামলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যাটে ঝড় তুললেন কুইন্টন ডি’কক ও হেইনরিখ ক্লাসেনরা। বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করলেন। দুজনের ব্যাটিং তাণ্ডবের সুবাদে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রান তুলল প্রোটিয়ারা। চলতি বিশ্বকাপে তৃতীয় শতরান পেয়ে গেলেন ডি’কক।
মঙ্গলবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক আইডেন মার্করাম। কিন্তু শুরুতেই বিপদে পড়ে যাচ্ছিল প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে শূন্য রানের মাথায় রেজা হেনড্রিকসের ক্যাচ স্লিপে ফেলে দেন তানজিদ হাসান। যদিও জীবন পেয়েও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি রেজা। সপ্তম ওভারেই শরিফুল ইসলামের বলে ১২ রান করে ফিরে যান। পরের ওভারেই রেসি ফন ডার ডুসেনকে (১) ফিরিয়ে দেন মেহেদী হাসান। পর পর দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপে আগের ম্যাচগুলোয় প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ঝড় তোলা দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের বিপক্ষে পঞ্চাশের ঘরও পার হতে পারেনি। তাদের সংগ্রহ ছিল দুই উইকেটে ৪৪। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে চাপ সামলান কুইন্টন ডি কক ও আইডেন মার্করাম। বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করতে থাকেন দুজনে। মাত্র ৪৭ বলেই ব্যক্তিগত অর্ধ শতরান পূর্ণ করেন ডি কক। হাসান মাহমুদের বলে চার হাঁকিয়ে ৫০ রানের গণ্ডি পেরোন বাঁ হাতি প্রোটিয়া ব্যাটার।
ডি’ককের পরে নিজের অর্ধ শতরান পূর্ণ করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ৫৭ বলে ৬টি চারের সাহায্যে একদিনের ক্রিকেটে নবম ফিফটি করেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে ১৩১ রান যোগ হওয়ার পরে মার্করামকে (৬০) ফিরিয়ে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু এক প্রান্তে অপ্রতিরোধ্যভাবেই ব্যাট করতে থাকেন ডি’কক। ১০১ বলে চলতি বিশ্বকাপে তৃতীয় শতরান পূর্ণও করেন প্রোটিয়া ওপেনার। মাত্র ৩৪ বলেই অর্ধশতরান তুলে নেন ক্লাসেনও। আর তারপরেই শুরু হয় দুজনের তাণ্ডব। জুটি বেঁধে ১৪২ রান যোগ করেন। ৪৬ ওভারে বল করতে এসে বিধ্বংসী ডি’কককে (১৪০ বলে ১৭৪) থামান হাসান মাহমুদ। এর পরেই ব্যাট হাতে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন ক্লাসেন। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৯০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ডেভিড মিলার বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।