নিজস্ব প্রতিনিধি, চেন্নাই: মরণ-বাঁচন ম্যাচে সৌদ সাকিল ও অধিনায়ক বাবর আজম অর্ধশতরান পেলেন বটে। কিন্তু উড়ন্ত প্রোটিয়াদের সামনে বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারল না পাকিস্তান। মিডল অর্ডার ও টেল এন্ডারদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের ফলে পুরো ৫০ ওভারও খেলতে পারল না প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৪৬.৪ ওভারে ২৭০ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে তাবরেজ শামসি চারটি এবং মার্কো জানসেন তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
বিশ্বকাপের শেষ চারে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতেই হবে এমন এক চ্যালেঞ্জ নিয়েই শুক্রবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল পাকিস্তান। কিন্তু পঞ্চম ওভারেই ধাক্কা খায় বাবরের দল। আবদুল্লাহ শফিককে (৯) ফিরিয়ে দেন মার্কো জানসেন। তার খানিক বাদেই সাজঘরে ফেরেন অন্য ওপেনার ইমাম উল হক (১২)। তাঁকেও আউট করেন জানসেন। এর পরে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। সতীর্থ মহম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গী করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। দুজনে ৪৮ রানের জুটি গড়েন। ১৬ তম ওভারে গেরাল্ড কোয়েৎজের বলে সাজঘরে ফেরেন মহম্মদ রিজওয়ান (৩১)। তবে আউট হওয়ার আগে একদিনের ক্রিকেটে দু’হাজার রান পূর্ণকারীদের তালিকায় নাম লেখান। রিজওয়ান ফেরার পরে ইফতিখার আমেদের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৪৩ রান যোগ করেন বাবর। তবে ইফতিখার এদিনও বড় রানের ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। মাত্র ২১ করে ফিরে যান।
মাথা ঠাণ্ডা করে খেলে ৬৪ বলে একদিনের কেরিয়ারে ৩১তম অর্ধশতরান তুলে নেন পাক অধিনায়ক। যদিও পরের বলেই সাজঘরে ফেরেন। ১৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফের সমস্যায় পড়ে যায় পাকিস্তান। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন সৌদ সাকিল ও শাদাব খান। দুজনে ৮৪ রানের জুটি গড়েন। ৪০ তম ওভারে শাদাবকে (৪৩) ফেরান কোয়েৎজে। অর্ধশতরান পূর্ণ হওয়ার পরে ফেরেন সৌদ সাকিলও (৫২)। শাহিন আফ্রিদি মাত্র দুই রান করে আউট হন। খানিকটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করা মহম্মদ রিজওয়ানকে (২৪) ফিরিয়ে ফের ধাক্কা দেন জানসেন। ৪৭তম ওভারে বল করতে এসে মহম্মদ ওয়াসিমকে (জুনিয়র) (৭) আউট করে পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে দেন লুঙ্গি এনগিডি।