নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: ব্যাট হাতে ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়াম কাঁপিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের মেগা ল্যানিং ও শেফালি ভার্মা। আর দ্বিতীয় পর্বে বল হাতে আগুন ঝরালেন মার্কিন পেসার তারা নোরিস। আর সেই বোলিংয়ে জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জয়ের আশা। রবিবার প্রথম ম্যাচেই হারের স্বাদ পেতে হলো স্মৃতি মান্ধানা-রিচা ঘোষদের। ৬০ রানে হারতে হলো দিল্লির কাছে।
জয়ের জন্য ২২৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরু থেকেই মারকাটারি ব্যাটিং শুরু করেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা। অধিনায়ককে বিধ্বংসী হতে দেখে ক্রিজের একদিক আগলে রেখেছিলেন সিফো ডিভাইন। ওভার পিছু গড়ে ১০ রান করে উঠছিল। কিন্তু আচমকা চালিয়ে খেলতে গিয়ে অ্যালিস ক্যাপসির বলে শেফালি ভার্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ডিভাইন(১১ বলে ১৪)। এলিস পেরির সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন স্মৃতি মান্ধানা। কিন্তু সপ্তম ওভারে বল করতে এসে ফের দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্রেক থ্রু এনে দেন ক্যাপসি। বেঙ্গালুরুর অধিনায়ককে (২৩ বলে ৩৫) প্যাভিলিয়নের পথ দেখান। এর পরে তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে দলের বিপদ সামলানোর চেষ্টা চালান এলিস পেরি ও দিশা কাসাত।
জয়ের জন্য শেষ ১০ ওভারে দরকার ছিল ১৩৬ রান। ওভার পিছু ১৩ রানের বেশি। আর ওই অসম্ভব কাজ সম্ভবের চেষ্টায় বেপরোয়া হয়ে আনকোরার মতো খেলতে শুরু করেন বেঙ্গালুরুর খেলোয়াড়রা। একাদশ ওভারে বল করতে এসে এক বলের ব্যবধানে এলিস পেরি (১৯ বলে ৩১) ও দিশাকে (১১ বলে ৯ রান) সাজঘরে ফেরেন তারা নোরিস। পর পর দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় স্মৃতি মান্ধানার দল। যারা ছিলেন বেঙ্গালুরুর শেষ ভরসা সেই রিচা ঘোষ (৪ বলে ২ রান) ও কনিকা আহুজাকে (শূন্য) পর পর দুই বলে ফিরিয়ে বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দেন মার্কিন তরুণ পেসার নোরিস। অষ্টম উইকেটে জুটি বেঁধে একটা চেষ্টা চালিয়েছিলেন হেদার নাইট ও মেগান স্কাট। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে।নাইটকে ফিরিয়ে বেঙ্গালুরুর ব্যাটিংয়ে শেষ পেতরেক পুঁতে দেন নোরিস।শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান তুলতে সক্ষম হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স।