নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: প্রথম উইকেটের পতন হয়েছিল ৫৪ রানে। তার পরেই বল হাতে আগুন ঝরাতে শুরু করলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের তরুণ পেসার যশ ঠাকুর। তার বোলিংয়ের সামনে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করলেন গুজরাত টাইটান্সের রথী-মহারথী ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৩০ রানেই গুটিয়ে গেল শুভমন গিলদের ইনিংস। ঘরের মাঠে ৩৩ রানে গুজরাতকে হারিয়ে এক লাফে পয়েন্ট তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এলেন লোকেশ রাহুলরা।
রবিবার লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতেনেমে মাত্র ১৬৩ রান তুলেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। ওই স্বল্প পুঁজি নিয়ে যে শুভমন গিলদের বিরুদ্ধে লড়া খুব একটা সহজ নয় তা জানতেন লখনউয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। তাই বোলারদের নির্দেশ দিয়েছেন, রান আটকে রাখার। চোটের কারণে এদিন গুজরাতের হয়ে খেলেননি ঋদ্ধিমান সাহা। তার পরিবর্তে অধিনায়ক শুভমন গিলের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন সাই সুদর্শন। দুজনে মাথা ঠাণ্ডা রেখে দেখেশুনে খেলতে থাকেন। প্রথম পওয়ার প্লে-তে ৫৪ রান তোলেন দুজনে। ভালো খেলতে খেলতে আচমকাই ভুল শট বেছে নিতে গিয়ে যশ ঠাকুরের বলে সাজঘরে ফেরেন গুজরাত অধিনায়ক শুভমন গিল (১৯)। স্কোর বোর্ডে ২ রান যোগ হতে না হতে কেন উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে ফের ধাক্কা দেন রবি বিষ্ণোই। পরের ওভারে অর্থাৎ নবম ওভারে বল করতে এসে গুজরাতকে জোড়া ধাক্কা দেন ক্রুনাল পাণ্ড্য। প্রথম বলে ফিরিয়ে দেন সাই সুদর্শনকে (৩১)। ফিরিয়ে কার্যত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে লখনউয়ের অনুকুলে নিয়ে আসেন ক্রুনাল পাণ্ড্য। পঞ্চম বলে ফিরিয়ে দেন বিআর শরথকে (২)। মাত্র সাত রানের ব্যবধানে চার উইকেট খুঁইয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় গুজরাত।
এর পরে যশ ঠাকুরের আগুন ঝরানো বোলিংয়ের মুখে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করে একে একে সাজঘরে ফিরে যান দর্শন নালকান্ডে (১২), বিজয় শঙ্কের (১৭) ও রশিদ খান (০)। একমাত্র কুম্ভ হয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা চালিয়েছিলেন রাহুল তেওতিয়া (৩০)। তাঁকেও সাজঘরের পথ দেখান যশ ঠাকুর। উমেশ যাদবকে (২) ফিরিয়ে দেন নাভিল উল হক। ১৯ তম ওভারের পঞ্চম বলে নূর আমেদকে (৪) আউট করে গুজরাতের ইনিংস গুটিয়ে দেন যশ। লখনউয়ের তরুণ বোলার এদিন ৩.৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩০ রান খরচ করে তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট।