নিজস্ব প্রতিনিধি: গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা প্রতি মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা জেরা করেছিল সিবিআই (CBI)। ফের তাঁকে শুক্রবার তলব করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শুক্রবার তাঁকে জেরা হয় দীর্ঘ সাড়ে ৯ ঘণ্টা।
সকাল ১১ টা থেকে তাঁকে জেরা শুরু করে সিবিআই। এসএসসি (SSC) দুর্নীতি মামলায় জেরা করা হয় তাঁকে। শুক্রবার দীর্ঘ সাড়ে ৯ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরার পর অবশেষে তিনি বেরিয়ে আসেন নিজাম প্যালেস (NIZAM PALACE) থেকে।
সন্ধ্যে সাড়ে ৮ টা নাগাদ তিনি সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে এই বিষয়ে বিশেষ কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। সূত্রের খবর, তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা কী করে চাকরি পেলেন? এর পেছনে কার কার প্রভাব রয়েছে।
উল্লেখ্য শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, অঙ্কিতা অধিকারীকে ফেরত দিতে হবে স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে আয় করা সমস্ত টাকা। সেই সঙ্গে বরখাস্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন। সেই টাকা ১ বা ২ মাসের নয় টানা ৪১ মাসের। নেহাত কম নয় সেই টাকার পরিমাণ। গত ২০১৮ সালের নভেম্বরে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বেতনের বেসিক ছিল ১৫ হাজার ৯৬০ টাকা। ১৫ শতাংশ এইচআরএ। মেডিক্যালে বরাদ্দ ছিল ৩ শতাংশ। মোট বেতন ছিল ৩৮ হাজার ৬০৪ টাকা। ১ বছরে তাঁর বেতন বেড়ে হয়েছিল ৪৯ হাজার ৪৯০ টাকা। মানে টানা ৪১ মাসের বেতন মিলিয়ে সেই টাকার পরিমাণ ২০ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা। সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ২ টি কিস্তিতে। রাষ্ট্র বিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেওয়া অঙ্কিতার প্রতি বিচারকের নির্দেশ আগামী ৭ জুনের মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। দ্বিতীয় কিস্তি মিটিয়ে দিতে হবে আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে। কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে সেই টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারকের নির্দেশ, আর স্কুল চত্বরে ঢুকতে পারবেন না, তিনি বা তাঁর প্রতিনিধি। নিজেকে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবেও পরিচয় দিতে পারবেন না তিনি।