নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১০ সালের বাম জমানার চেয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ল ২০ গুণ। বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ হয়েছে বিধানসভায়। বাজেট পেশ করেছেন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন বাজেট পেশের পর পরিসংখ্যানে দেখা যায় চলতি বছরে শুধু স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে ১৮২৬৪.৬২ কোটি টাকা। যা ২০১০-১১ সালে বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থের ২০ গুণ। বাম জমানার শেষ লগ্নে ২০১০ সালে বাজেটে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল ৯১১.৬১ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য খাতে জনমুখী কর্মসূচি স্বাস্থ্যসাথী চালু করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চালু করেছে মাল্টিসুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। যার সুফল পাচ্ছেন রাজ্যবাসী। সাধারণ মানুষের কাছে আরও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে আন্তরিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে চিকিৎসা পরিষেবাকে আরও মসৃণ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। বুধবারের বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো তার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
উল্লেখ্য এদিন বাজেট পেশের পর দেখা যায় সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ বেড়েছে কৃষি খাতে। বাম জমানায় মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য স্লোগান তুলেছিলেন ‘কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যত’। তার পরেও কৃষিক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের অর্থনৈতিক কোনও উন্নতি হয়নি। রাজ্যে পালাবদলের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার কৃষকদের স্বার্থে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। সিপিএম জমানায় ২০১০ সালে রাজ্য বাজেটে কৃষি ক্ষেত্রের জন্য বরাদ্দ ছিল ২৮০.৭০ কোটি টাকা। ৩৪.২ গুণ বেড়ে ২০২৩ সালে রাজ্য বাজেটে কৃষি ক্ষেত্রে বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে ৯৫৯৫.৩২ কোটি টাকা।